Russia Ukraine War

Russia-Ukraine war: সন্তান উঠেছে বায়ুসেনার বিমানে, সদর দরজা চেয়ে পরিবার

পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা অন্তত ১৭ জন পড়ুয়া এখনও বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২২ ০৭:৪৩
Share:

স্বস্তি: গাজিয়াবাদ পৌঁছেছে বায়ুসেনার একটি বিমান। ছবি: পিটিআই

সন্তানেরা যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেন ছেড়েছেন ইতিমধ্যেই। তাঁরা কেউ এখন রয়েছেন রোমানিয়ায়, কেউ হাঙ্গেরিতে, কেউ বা পোল্যান্ডে। সেখান থেকে ভারতে ফেরার অপেক্ষায় তাঁরা। এ দেশে অপেক্ষায় ওই পড়ুয়াদের পরিবারও। পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা অন্তত ১৭ জন পড়ুয়া এখনও বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর। এই পড়ুয়ারা সকলেই ডাক্তারি পড়তে ইউক্রেনে গিয়েছিলেন। ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরাতে ‘অপারেশন গঙ্গা’ শুরু করেছে কেন্দ্র। এতে যুক্ত হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার ‘সি-১৭ গ্লোবমাস্টার’ বিমানও।

Advertisement

শুক্রবার ভোরে রোমানিয়ার বিমান বন্দরে পৌঁছন রোহন মুখোপাধ্যায়। বিকেলে ‘সি-১৭ গ্লোবমাস্টার’ বিমানে ওঠার অনুমতিপত্র পেয়ে যান তিনি। রোহনের বাবা নির্মাল্য মুখোপাধ্যায় থাকেন শালবনির টাঁকশালের কর্মী আবাসনে। তিনি টাঁকশালের কর্মচারী। ছেলের সঙ্গে ভিডিয়ো-কলে কথা হচ্ছে নির্মাল্যের। তিনি বলছিলেন, ‘‘ছেলে এ দিন ভোরেই রোমানিয়া বিমান বন্দরে পৌঁছয়। ওখানে গ্লোবমাস্টার পৌঁছে গিয়েছে। ওই বিমানে ওঠার অনুমতি পেয়েছে ও।’’ নির্মাল্য জানাচ্ছেন, গাজিয়াবাদ এয়ারবেসে নামতে পারে গ্লোবমাস্টার। সেখান রোহন কী ভাবে কলকাতা এবং পরে শালবনিতে পৌঁছবে— সে নিয়ে চিন্তায় নির্মাল্য।

এ দিন রোমানিয়ায় বেস-ক্যাম্পে ছিলেন শুভদীপ ঘোষ। তিনি এখনও বিমান বন্দরে পৌঁছতে পারেননি। তাঁর বাড়ি মেদিনীপুর গ্রামীণের পাঁচখুরিতে। শুভদীপের বাবা সৃজন ঘোষ বলছিলেন, ‘‘ছেলের সঙ্গে ভিডিয়ো-কলেই কথা হচ্ছে। ও রোমানিয়ায় বেস-ক্যাম্পে রয়েছে এখন।’’ কী ভাবে রোমানিয়ায় পৌঁছল শুভদীপ? সৃজন বলছেন, ‘‘অনেক কষ্টে পৌঁছেছে। পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে, তারপরে ট্রেনে।’’ প্রসঙ্গত, রোমানিয়া থেকে ভারতীয়দের ফেরাতে ‘সি-১৭ গ্লোবমাস্টার’ বিমান পাঠানো হয়েছে। অনেকে মনে করাচ্ছেন, উদ্ধার কাজে বরাবরই ভারতের অন্যতম ভরসা ‘সি-১৭ গ্লোবমাস্টার’। এটি মূলত পণ্যবাহী বিমান এবং আকারে বেশ বড়।

Advertisement

ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে যাওয়া এ জেলার বাসিন্দা পড়ুয়াদের কে, কোথায় এখন রয়েছেন— সে সব খোঁজখবর রাখছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা তাঁদের পরিজনেদের সঙ্গে কথাও বলছেন। কখনও তাঁরা সরাসরি পড়ুয়াদের সঙ্গেই কথা বলার চেষ্টা করছেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল বলছেন, ‘‘এ জেলার বাসিন্দা কয়েকজন ইউক্রেনে ছিলেন। তাঁদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আগেই পাঠানো হয়েছে।’’

কেন্দ্র থেকে পড়ুয়াদের নামের একটি তালিকা এসেছে। রাজ্য থেকেও একটি তালিকা এসেছে। দুই তালিকা খতিয়ে দেখা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই জেলার অন্তত ২২ জন ইউক্রেনে ছিলেন। এর মধ্যে এক জনের বর্তমান অবস্থান জানা যাচ্ছে না। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। বাকিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা গিয়েছে। চারজন রয়েছেন রোমানিয়ায়। চারজন রয়েছেন হাঙ্গেরিতে। আটজন দিল্লি পর্যন্ত ফিরতে পেরেছেন। বাকি পাঁচজন বাড়ি ফিরেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement