ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ, বিধায়ক জুন মালিয়ার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোকে। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী শ্রীকান্তকে বলেছেন, ‘‘এমনভাবে ক্ষমা চাইবে, যেন জুন আমায় ফোন করে বলে যে, তুমি ক্ষমা চেয়েছ।’’
তারপর ২৪ ঘন্টা অতিক্রান্ত। তবে এখনও জুনের কাছে ক্ষমা চাননি শ্রীকান্ত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন বলেন, ‘‘আমি ওঁর (শ্রীকান্তর) ফোন পাইনি।’’ যদিও শ্রীকান্ত বলছেন, ‘‘সব মিটে গিয়েছে!’’ তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুরের কো- অর্ডিনেটর অজিত মাইতিরও ঘোষণা, ‘‘ওটা ক্লোজড চ্যাপ্টার! জুন ও শ্রীকান্তের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।’’ কিন্তু শ্রীকান্ত তো এখনও জুনকে ফোনই করেননি? এ বার অজিতের জবাব, ‘‘দলনেত্রী যখন বলে দিয়েছেন, তখন শ্রীকান্ত ওঁর কাছে (জুনের) ক্ষমা চাইতে বাধ্য। এর কোনও অন্যথা হবে না।’’
জুন এবং শ্রীকান্ত, জেলার দুই বিধায়ক এ দিন ছিলেন দুই প্রান্তে। কলকাতার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। সেই স্বীকৃতির উদ্যাপনের মিছিলে কলকাতা ছিলেন জুন। আর মেদিনীপুরের মিছিলে শামিল হন শ্রীকান্ত। তাঁর আসতে অবশ্য খানিক দেরি হয়েছে।
সম্প্রতি তৃণমূলের তারকা সাংসদ, বিধায়ক থেকে দলের একাংশ জেলা নেতানেত্রীর নাম করে বেফাঁস কথা বলে বিতর্কে জড়ান শ্রীকান্ত। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শালবনির বিধায়ককে শো-কজ় করেছিলেন দলের জেলা নেতৃত্ব। এরপর দলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন ক্রেতা সুরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত। তারপরই বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতা চাওয়ার নির্দেশ দেন শ্রীকান্তকে। ক্ষমা চাইতে হবে শ্রীকান্তকে।
সেই নির্দেশ পালনের আগেই বিষয়টিকে ‘ক্লোজড চ্যাপ্টার’ ঘোষণা করা প্রসঙ্গে অজিতের ব্যাখ্যা, ‘‘এই বিষয়টিকে নিয়ে কেউ কেউ আরও কিছুদিন রসদ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু এটা রসদ হবে না। আমে-দুধে মিশে যাবে। আর আঁটি গড়াগড়ি যাবে।’’ দলের একাংশ কর্মীর অনুমান ছিল, এ দিন মেদিনীপুরের অনুষ্ঠানে আসতে পারেন জুন। এলে হয়তো তাঁর মুখোমুখি হতেন শ্রীকান্ত। না এলেও অবশ্য মেদিনীপুরের অনুষ্ঠান কেমন হল, জুন খোঁজ নিয়েছেন। মেদিনীপুরের বিধায়ক বলছেন, ‘‘কলকাতার অনুষ্ঠানে থাকতে হয়েছে। তাই তো আমি মেদিনীপুরে যেতে পারলাম না।’’