জুন মালিয়া, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শ্রীকান্ত মাহাত। নিজস্ব চিত্র।
তরজায় পড়ল দাঁড়ি। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে হাসিমুখে ‘হ্যান্ডশেক’ করলেন জুন মালিয়া ও শ্রীকান্ত মাহাতো। তার পর দু’জনেই জানালেন, ঝগড়ায় ইতি। বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মেদিনীপুরের বিধায়ক জুনের কাছে শ্রীকান্তকে ক্ষমা চাইতে আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা। মঙ্গলবার দু’জনেই উপস্থিত ছিলেন খড়্গপুরের বৈঠকে। সেখানে জুন-শ্রীকান্ত হাত মিলিয়ে নিয়েছেন বলে জানান জেলার তৃণমূল কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতি।
সম্প্রতি তৃণমূলের তারকা সাংসদ, বিধায়ক থেকে দলের একাংশ জেলা নেতা-নেত্রীর সম্পর্কে বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ান শ্রীকান্ত। তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘জুন মালিয়া, সায়নী, সায়ন্তিকা, মিমি, নুসরতরা লুটেপুটে খাচ্ছে। এঁরা যদি সম্পদ হয়, তাহলে তো আর পার্টি করা যাবে না!’’ মন্ত্রীর বক্তব্যের ভিডিয়ো ফাঁসের পরে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শালবনির বিধায়ককে শো-কজ করেছিল জেলা নেতৃত্ব। এর পর দলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন শ্রীকান্ত। জুনের কাছে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা।
মঙ্গলবার খড়্গপুরের বৈঠকে মমতা দু’জনের মধ্যে মিটমাট করে দেন বলে জানান অজিত। তাঁর কথায়, ‘‘নেত্রীই দু’জনকে মিলিয়ে দিলেন। ওঁরা একে অপরের সহকর্মী। ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দিদির মতো দু’জনকে হাত মিলিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আমাকে বললেন, অজিত, জুনকে প্রোকেটশন দিবি, ও ভাল মেয়ে।’’
খুশি জুনও। তিনি বলেন, ‘‘অখুশি থাকার জায়গাই নেই। দিদি আমাদের ভালবাসেন। বার বার সবাইকে তা বুঝিয়ে দেন।’’ শ্রীকান্তের ক্ষমা চাওয়া প্রসঙ্গে জুন বলেন, ‘‘এটা ওঁর ব্যাপার। দিদি তাঁর তরফ থেকে বলেছেন। আমি তো কোনও অভিযোগ জানাইনি। এখন সেটা ক্লোজড চ্যাপ্টার। দিদি সব সময় পাশে আছেন এবং থাকবেন, সেটা বুঝিয়েও দিয়েছেন। আমরা তো নার্সারি স্কুলের বাচ্চা নই। দিদি মিষ্টি করে যে ভাবে এক জন অভিভাবক শাসন করেন, সে ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমার অভিমান হয়নি, খারাপ লেগেছিল, কেন আমাদের সবাইকে টেনে আনা হয়েছিল।’’
জুনের সঙ্গে যে আর কোনও সমস্যা নেই তাঁর, সে কথা জানিয়েছেন শ্রীকান্তও। তাঁর কথায়, ‘‘দিদি বলেছেন জুনের সঙ্গে ভাব করে নিতে। কথা বলতে। আমি তো কথা বলি। এখন আর কোনও সমস্যা নেই।’’