এগরার মহকুমাশাসক ও নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে চলছে মনোনয়ন পরীক্ষা। ছবি: কৌশিক মিশ্র।
মনোনয়নপত্র পরীক্ষার কাজ শেষ হল পূর্ব মেদিনীপুরের তিন পুরসভার। বৃহস্পতিবার তমলুক, এগরা ও কাঁথি পুরসভায় নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল বুধবার। ২৮ মার্চ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।
জেলা নির্বাচন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুকের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রার্থী হওয়ার জন্য যে সব মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে বৃহস্পতিবার সে গুলি পরীক্ষার পরে দেখা যাচ্ছে এখানে মোট ৮৬ জন প্রার্থীর মনোনয়ন রয়েছে। ২০ আসন বিশিষ্ট তমলুক পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে কমপক্ষে তিন থেকে ৬ জন পর্যন্ত প্রার্থী রয়েছে। তারমধ্যে ১, ৫, ১১, ১৭ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডে তিন জন, ২, ৩, ৭, ১৪, ১৫, ১৬ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে চার জন, ৪, ৮, ১২, ১৩ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচ জন এবং ৬, ৯ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ছ’জন করে প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে। প্রার্থী পদের জন্য তৃণমূল, বামফ্রন্ট, বিজেপি, কংগ্রেস ছাড়াও বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হিসেবে বেশ কিছু মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে। বৃহস্পতিবার তমলুকে জেলা প্রশাসনিক অফিসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নির্দল প্রার্থী পদের জন্য আবেদনকারীদের উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র পরীক্ষা করা হয়।
এ দিনই জেলার এগরা পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী পদের জন্য জমা দেওয়া মনোনয়ন পত্রগুলি পরীক্ষা করা হয়। মহকুমাশাসকের অফিসে প্রার্থী পদে আবেদনকারীদের উপস্থিতিতে এই পরীক্ষার কাজ চলে। ১৪ ওয়ার্ড বিশিষ্ট এগরা পুরসভায় এ বার মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল ৬০টি। বৃহস্পতিবার তিনটি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এর ফলে এগরা পুরসভায় এখন প্রার্থী পদে ৫৭ জন মনোনয়ন পেয়েছেন। এগরা পুরসভাতেও প্রতিটি ওয়ার্ডে তিন বা তিনের বেশী প্রার্থীর মনোনয়ন রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক অন্তরা আচার্য জানান, “জেলার তিনটি পুরসভাতেই মনোনয়নপত্র পরীক্ষার কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। আগামী শনিবার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার পরেই চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। ও”
এ দিকে কাঁথি পুরসভার ২১টি ওয়ার্ডের জন্য মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল ১৯৬টি। তারমধ্যে তৃণমূলের ৮৮, সিপিএম-এর ২৩, সিপিআইয়ের ৩, আরএসপি-র ২ , কংগ্রেস ৩৩, বিজেপি-র ২৩ এবং নির্দল হিসাবে ২৪টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। বৃহস্পতিবার পরীক্ষা করে তিনটি মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এরমধ্যে রয়েছে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল এবং ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়।