নেই বিদ্যালয় পরিদর্শক, সমস্যা পূর্বের স্কুলে

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অর্ধেকেরও বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় চক্রে কোনও অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক নেই। ফলে সমস্যায় স্কুলের মিড-ডে মিল থেকে শিক্ষকদের বেতন বা নতুন নিয়োগ। প্রায় ন’মাস ধরে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের অভাবে প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা কার্যত অচল হয়ে পেড়েছে বলে অভিযোগ করেছে জেলার প্রাথমিক শিক্ষক ও শিক্ষক সংগঠনগুলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৫ ০০:৫২
Share:

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অর্ধেকেরও বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় চক্রে কোনও অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক নেই। ফলে সমস্যায় স্কুলের মিড-ডে মিল থেকে শিক্ষকদের বেতন বা নতুন নিয়োগ। প্রায় ন’মাস ধরে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের অভাবে প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা কার্যত অচল হয়ে পেড়েছে বলে অভিযোগ করেছে জেলার প্রাথমিক শিক্ষক ও শিক্ষক সংগঠনগুলি।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অরূপকুমার ভৌমিক অভিযোগ করেন, “জেলার তমলুক, কাঁথি, হলদিয়া ও এগরা মহকুমায় মোট ৪৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় চক্রের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির প্রশাসনিক যাবতীয় কাজকর্ম পরিচালিত হয়। ২৪টি চক্রে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক না থাকায় ৩২৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সমস্যার সম্মুখীন।’’

তাঁদের অভিযোগ দীর্ঘদিন পরিদর্শক পদে নিয়োগের জন্য জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ, জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে বারবার দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু সমাধান হয়নি। তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের নেতা আরিফ আহমেদ খান অভিযোগ করেন, কাঁথি মহকুমার মোট ১৪টি চক্রের মধ্যে ন’টি চক্রে কোন স্থায়ী অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক না থাকায় মিড-ডে মিল প্রকল্পে যেমন অসুবিধা হচ্ছে তেমনই সময় মতো স্যালারি সার্টিফিকেট পাওয়া বা সার্ভিসবুক নিয়ে নানা সমস্যায় শিক্ষকরা জর্জরিত হচ্ছেন।

Advertisement

জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মানস দাস সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, “জেলার বাকি ২২টি চক্রের পরিদর্শকদের দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। কিন্তু তাতে এক একজনের উপরে দু’তিনটে করে চক্রের দায়িত্ব থাকায় সমস্যা আরও বাড়ছে।’’ তবে তাঁর আশ্বাস, জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের পক্ষ থেকে শূন্য পদগুলিতে অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধায়ের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মামুদ হোসেন জানান, “সমস্যার কথা জানিয়ে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকেও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠানো হয়ছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement