এই সব পথবাসীদের জন্যই তৈরি হবে বাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
ওঁদের কেউ থাকেন ফুটপাথে, কেউ বাসস্ট্যান্ডে, কারও আস্তানা আবার রেলস্টেশন। এই সব আশ্রয়হীনদের স্থায়ী ঠিকানার সন্ধান দিতে এ বার উদ্যোগী হল সরকার। বাড়ি তৈরির পাশাপাশি দু’বেলা খাবারের সংস্থানের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। শহুরে গৃহহীনদের মাথার উপর ছাদ দিতেই তৈরি হয়েছে সরকারি প্রকল্প ‘শেল্টার ফর আর্বান হোমলেস’। এই প্রকল্পে মেদিনীপুর পুরসভা পেয়েছে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। পুরপ্রধান প্রণব বসু বলেন, “আমাদের শহরে পথেঘাটে রাত কাটান এমন ৫২ জনের সন্ধান পেয়েছি। টাকা পেলেই বাড়ি তৈরি শুরু হবে। ওঁদের নিশ্চিন্তে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।”
কেউ পারিবারিক বিবাদ বা দুর্ঘটনার জেরে ঘরহারা, কেউ আবার অনাথ হওয়ায় ফুটপাথেই পেতেছেন সংসার। দিনভর লোকের বাড়িতে বা দোকানে কাজ করে দিন চলে। অনেক মাদকাসক্ত, অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত লোকজনও রয়েছে এই সব গৃহহীনদের মধ্যে। কুকুর-বিড়ালের সঙ্গেই রাস্তায় দিন কাটে ওঁদের। প্রশাসন সূত্রে খবর, এঁদের জন্য কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কাজ করলেও, স্থায়ী ভাবে ভাবনাচিন্তা হয়নি। তাই আশা দেখাচ্ছে সরকারি প্রকল্প। পুরসভার এগ্জিকিউটিভ অফিসার আশিস সরকার বলেন, “এ বার সরকার উদ্যোগী হয়েছে। নজরদারি করবে সুপ্রিম কোর্টও।”
তাই গোড়া থেকেই প্রকল্প রূপায়ণে বাড়তি নজর দিচ্ছে মেদিনীপুর পুরসভা। পুরপ্রধান জানান, ইতিমধ্যে দু’বার মাঝরাতে শহর ঘুরে দেখেছে পুরসভার প্রতিনিধি দল। নেওয়া হয়েছে ভিডিও ফুটেজ। প্রত্যেক ব্যক্তির ছবি-সহ সংক্ষিপ্ত নথি সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই মতো ৫২ জন গৃহহীনের সন্ধান মিলেছে মেদিনীপুর শহরে।
পুরসভা জানিয়েছে, মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডের মার্কেট কমপ্লেক্সের দো’তলায় তৈরি করা হবে পুরুষ ও মহিলাদের আলাদা থাকার ঘর। কিনে দেওয়া হবে খাট-বিছানা। থাকবে রান্নাঘর, শৌচাগার। রাখা হবে রান্নার লোক। সুস্থ জীবনের দিশা পাবেন ঘরহারা মানুষগুলো।