শিক্ষাই উপেক্ষিত, কটাক্ষ স্কুল পরিদর্শকদের 

প্রতিবেদনের ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ সমিতি। শিক্ষার ব্যাপারে শিক্ষার কাজই উপেক্ষিত বলে কেন মনে করছে সমিতি? সদুত্তর এড়িয়ে সমিতির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সমরেন্দ্র সাঁতরা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মানবিক। শিক্ষাক্ষেত্রকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন। আমরা নির্দিষ্ট কিছু দাবি জানিয়েছি। দাবি পূরণের ব্যাপারে আশাবাদীও।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৪৯
Share:

প্রতিবেদনের এই বয়ান (চিহ্নিত) ঘিরেই উঠছে প্রশ্ন। নিজস্ব চিত্র

দফতরটি শিক্ষার। অথচ, দফতরে শিক্ষার কাজটিই উপেক্ষিত থাকছে। এমনই মত বিদ্যালয় পরিদর্শকদের সংগঠন বিদ্যালয় পরিদর্শক সমিতির। খোদ সংগঠনের রাজ্য সম্মেলনে এই নালিশ করা হয়েছে। সমিতির রাজ্য সম্মেলনের সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রকৃতপক্ষে শিক্ষা দফতরের কাজে শিক্ষার কাজটিই চরম ভাবে উপেক্ষিত। শিক্ষা ও শিক্ষার্থীর স্বার্থকে কেন্দ্রীয় স্বার্থ হিসেবে বিবেচনা করার সমিতির দীর্ঘদিনের দাবিকে গুরুত্ব দিতে হবে।’

Advertisement

প্রতিবেদনের ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ সমিতি। শিক্ষার ব্যাপারে শিক্ষার কাজই উপেক্ষিত বলে কেন মনে করছে সমিতি? সদুত্তর এড়িয়ে সমিতির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সমরেন্দ্র সাঁতরা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মানবিক। শিক্ষাক্ষেত্রকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন। আমরা নির্দিষ্ট কিছু দাবি জানিয়েছি। দাবি পূরণের ব্যাপারে আশাবাদীও।’’

সমিতির দু’দিনের রাজ্য সম্মেলনের শেষ দিন ছিল রবিবার। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার প্রায় পাঁচশোজন প্রতিনিধি অংশ নেন। শিক্ষা পরিদর্শন এবং প্রশাসনকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করতে ব্লক স্তরের পরিকাঠামোর আমূল পরিবর্তন করার দাবি জানানো হয়েছে। সমিতির দাবি, রাজ্যের সার্বিক পরিবেশ অনুকূল। এই অনুকূল পরিবেশকে রক্ষা করার আর্জিও জানিয়েছে সমিতি। পাশাপাশি, শিক্ষা প্রশাসনের প্রশ্নে রাজ্যের সমালোচনা করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, বিদ্যালয় পরিদর্শকেরা এখন আতঙ্কে থাকেন। কেমন? রাজ্য সম্মেলনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষা দফতর ক্রমাগত একটি সাধারণ প্রশাসনিক দফতরে পরিণত হচ্ছে। নথিপত্রে সরকারি আদেশনামা, কিছু সুযোগ-সুবিধে রূপায়ণ এবং সর্বোপরি মামলা মোকদ্দমার তদারকি করাই এই দফতরের প্রধান কাজ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।’ আরও বলা হয়েছে, ‘মামলায় জর্জরিত শিক্ষা প্রশাসন। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকেরা আতঙ্কে দিন কাটান। প্রায় প্রত্যেক দিন কোন না কোন মামলায় আদালতে হাজির হতে হয় জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক থেকে বিদ্যালয় শিক্ষা অধিকর্তা পর্যন্ত বিভিন্ন আধিকারিককে। আদালতে আর্থিক জরিমানা নিত্যদিনের যন্ত্রণা, যা পরিদর্শকদের হতোদ্যম করে তুলেছে।’

Advertisement

সমিতির বক্তব্য, বিদ্যালয় পরিদর্শকদের মূল কাজই হল বিদ্যালয় পরিদর্শন। পরিদর্শকদের কাছে সমিতির আর্জি, যত কাজের চাপই থাকুক, সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন বিদ্যালয় পরিদর্শনের জন্য বরাদ্দ রাখতেই হবে। এ ব্যাপারে কোনও দ্বিধা বা সংকোচ বা শ্লথতা রাখা চলবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement