তপনকে বকেয়া বেতন নয়, স্কুলের মত বদল

তৃণমূল নেতৃত্বের ধমক খেয়ে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলল গড়বেতার সেই স্কুল পরিচালন সমিতি। আগের সিদ্ধান্ত পাল্টে জেলা শিক্ষা দফতরে এ বার তারা জানিয়ে দিল, সিপিএম নেতা তথা স্কুল শিক্ষক তপন ঘোষের বকেয়া বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে সমিতির আপত্তি রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৩০
Share:

তৃণমূল নেতৃত্বের ধমক খেয়ে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলল গড়বেতার সেই স্কুল পরিচালন সমিতি। আগের সিদ্ধান্ত পাল্টে জেলা শিক্ষা দফতরে এ বার তারা জানিয়ে দিল, সিপিএম নেতা তথা স্কুল শিক্ষক তপন ঘোষের বকেয়া বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে সমিতির আপত্তি রয়েছে। স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি, তৃণমূল নেতা তপন দে মানছেন, “আগে একটা ভুল হয়ে গিয়েছিল। পরে সেই ভুল সংশোধন করা হয়েছে। সমিতির নতুন সিদ্ধান্তের কথা শিক্ষা দফতরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

Advertisement

ঘটনাটি গড়বেতার মঙ্গলাপোতা হাইস্কুলের। এই স্কুলেরই সহ-শিক্ষক এক সময়ের দাপুটে সিপিএম নেতা তপন ঘোষ। রাজ্যে পালাবদলের পরে ২০১১ সালের ৬ মে থেকে ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি স্কুলে আসেননি। তারপর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তপনবাবু। পরে পুলিশি নিরাপত্তায় তিনি স্কুলে যোগ দেন। সম্প্রতি ওই সাড়ে চার বছরের বকেয়া বেতন চেয়ে স্কুলে আবেদন করেছিলেন তপনবাবু। সেই আবেদনে সম্মতি দিয়ে শিক্ষা দফতরে সুপারিশ করেছিল তৃণমূল প্রভাবিত স্কুল পরিচালন সমিতি।

সেই সিদ্ধান্ত ঘিরেই শাসক দলের অন্দরে চূড়ান্ত অস্বস্তি দেখা দেয়। তৃণমূল পরিচালিত স্কুল সমিতিকে ভর্ৎসনা করেন দলের জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সাফ জানিয়ে দেন, অবিলম্বে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হবে। গড়বেতার বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি আশিস চক্রবর্তী শুক্রবার বলেন, “ওই স্কুল সমিতি আগে একটা ভুল করে ফেলেছিল। পরে তা সংশোধন করে নিয়েছে। ওই শিক্ষকের বকেয়া বেতনের জন্য স্কুল পরিচালন সমিতি সুপারিশ করতে পারে না।’’

Advertisement

তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের জেলা নেতা মধুসূদন গাঁতাইতেরও দাবি, “দীর্ঘদিন এ ভাবে ছুটিতে থাকা যায় না। স্কুল সমিতিকে আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতেই হত।” জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অমরকুমার শীল বলেন, “স্কুল সমিতি কী জানিয়েছে দেখিনি। দেখে যা পদক্ষেপ করার করব।” আর তপনবাবুর বক্তব্য, বকেয়া বেতন চেয়ে তিনি স্কুল পরিচালন সমিতি নয়, আবেদন করেছিলেন প্রধান শিক্ষকের কাছে। তবে তা মঞ্জুর হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement