—ফাইল চিত্র।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ না হওয়ার জন্য কেন্দ্রের উদাসীনতাকে দায়ী করেছে রাজ্য। বরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আবার রাজ্যকেই ‘অপদার্থ’ বলে কটাক্ষ করেছেন। কিন্তু পূর্বসূরি শুভেন্দু মিথ্যাচার করছেন বলে এ বার অভিযোগ করলেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তাঁর দাবি, বিজেপি নেতাদের তুষ্ট করতে মিথ্যা দাবি করছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
একটানা বৃষ্টি এবং ডিভিসি-র ছাড়া জল, সব মিলিয়ে বানভাসি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল। সেই নিয়ে শুক্রবার মেদিনীপুর সার্কিট হাওসে জরুরি বৈঠক করেন সৌমেন। লেখানে তিনি বলেন, ‘প্রথম মন্ত্রসভায় দু’মাসের জন্য সেচ দফতরের দায়িত্বে ছিলাম। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে দিল্লি গিয়েছিলাম সেই সময়। তাতে কাজ কিছুটা গতি পেয়েছিল। ঠিক হয়েছিল, কেন্দ্র ৭৫ শতাংশ এবং রাজ্য ২৫ শতাংশ খরচ দেবে। পরে তৎকালীন বিজেপি-র মন্ত্রী উমা ভারতী জানান, কেন্দ্র ও রাজ্য দু’পক্ষই ৫০ শতাংশ করে দেবে। তার পরেও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়িত হয়নি।’’
এর পরই রাজ্যের প্রাক্তন সেচমন্ত্রী তথা অধুনা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন সৌমেন। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি হিসেবে বিরোধী দলনেতা মিথ্যাচার করছেন। অনেক কথা বলছেন উনি। কিন্তু নিজে একসময় এই দফতর সামলেছেন উনি। সত্যটা ঠিক কী, তা খুব ভাল করে জানেন। কিন্তু দল করতে হবে, দলের নেতাদের তুষ্ট করতে হবে, তাই মিথ্যাচার করছেন। মিথ্যে বলছেন। জনগণ এর বিচার করবেন। বিচার করবেন ঘাটালবাসী।’’
সৌমেনের দাবি, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সত্ত্বেও পরিকাঠামো গড়ে তোলার তহবিল চালিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দূর্বাচটি, পলাশপাই, চন্দ্রেশ্বর নদী এলাকায় কাজ শুরু হয়েছে। সে জন্যই ঘাটালের মাত্র ০ শতাং এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগী না হলে, আরও ক্ষতি হত।