এখান থেকেই কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চন্দন গাছ। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।
কৃষ্ণনগরের পর মেদিনীপুর। ফের চন্দন গাছ চুরি হল প্রশাসনের প্রায় নাকের ডগা থেকে। মঙ্গলবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের ঠিক উল্টো দিকে পিডব্লিউডি অফিসের মধ্যে থেকে তিনটি শ্বেত চন্দন গাছ কেটে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
মেদিনীপুরেও চন্দন চুরি অবশ্য এই প্রথম নয়। গত ১০ জুন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রক্ষীদের নজর এড়িয়ে একটি চন্দন গাছ চুরি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। পুলিসের কর্তাদের অনুমান, সম্প্রতি দক্ষিণবঙ্গে চন্দন চুরির একটি বড় কোনও চক্র সক্রিয় হয়েছে। তারাই এই সব চুরির পিছনে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অবশ্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চুরি যাওয়া চন্দন উদ্ধারে পুলিস ব্যর্থ হয়েছে। চুরির সঙ্গে জড়িত চক্রের কেউও ধরা পড়েনি।
সম্প্রতি বীরভূম এবং লাগোয়া মুর্শিদাবাদ-নদিয়া ও বর্ধমানে একাধিক চন্দন গাছ চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত মে মাসে প্রথমে বীরভূমের সদর সিউড়িতে জেলা বন আধিকারিকের বাংলো থেকেই দুষ্কৃতীরা একটি চন্দন গাছ কেটে নিয়ে চলে যায়। একই মাসে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস থেকে চুরি যায় লক্ষাধিক টাকা দামের আরও একটি চন্দন গাছ। বিশ্বভারতীতে এ ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। এ নিয়ে কম করে পাঁচ বার ক্যাম্পাসে থাকা একাধিক চন্দন গাছ চুরি গিয়েছে।
গত জুন মাসে আবার একাধিক চন্দন চুরির ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদে। সেখানে সাত দিনে চারটি চন্দন গাছ কেটে নেয় দুষ্কৃতীরা। মুর্শিদাবাদ কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ক্যাম্পাসই হোক কিংবা জেলা পুলিশ সুপারের বাংলোর ঠিক পাশে বহরমপুর গার্লস কলেজ, লক্ষাধিক টাকার চন্দন চুরি করতে বাধার মুখে পড়তে হয়নি দুষ্কৃতীদের। এ দিকে, গত ১১ জুলাই নদিয়ার কৃষ্ণনগরে জেলা পরিষদ চত্ত্বর থেকেই একটি চন্দন গাছ চুরি গিয়েছে। তার ঠিক তিন দিন আগে দুষ্কৃতীরা বর্ধমানের কাঁকসায় প্রায় চল্লিশ বছরের প্রাচীন একটি চন্দন গাছ কেটে নিয়েছে।