শালবনি কোভিড হাসপাতালের এইচডিইউ। নিজস্ব চিত্র
সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালই রূপান্তরিত হয়েছে কোভিড হাসপাতালে। খাতায়-কলমে না কি সব পরিকাঠামোই ছিল। কিন্তু চালু ছিল না। পরিষেবায় খামতির অভিযোগ ওঠার পরে এ বার একে একে সে সব চালু হতে শুরু করল শালবনির কোভিড হাসপাতালে। গত শনিবার এই হাসপাতালে পরিদর্শনে এসেছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল। তার দু’দিনের মাথায়, সোমবারই হাসপাতালে চালু হল এইচডিইউ (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট)। হয়েছে ডায়ালিসিসও। শনিবারই এখানে এক করোনা রোগীর সফল ডায়ালিসিস হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। আপাতত ২০ শয্যার এইচডিইউ চালু হয়েছে। শীঘ্রই আরও ২০টি শয্যা চালু হবে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক তথা করোনা মোকাবিলায় গঠিত জেলাস্তরের টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান রশ্মি কমল মানছেন, ‘‘শালবনি কোভিড হাসপাতালে এইচডিইউ চালু হয়েছে। ওখানে ডায়ালিসিসও হয়েছে।’’ জেলাশাসকের সংযোজন, ‘‘ওই হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসার সব রকমের ব্যবস্থাই রয়েছে। একে একে আরও প্রয়োজনীয় কিছু পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।’’
এই হাসপাতালের পরিষেবা এবং পরিকাঠামো নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল। নালিশ পৌঁছয় মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও। রাতারাতি হাসপাতালের সুপার বদল করা হয়। প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য দফতরে যোগাযোগ করে বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর আর্জি জানান জেলাশাসকই। রশ্মি এক সময়ে ওই দফতরে কাজও করেছেন। এরপরই শনিবার শালবনির হাসপাতালে পরিদর্শনে আসে কলকাতার এম আর বাঙুর হাসপাতালের সুপার শিশির নস্করের নেতৃত্বাধীন একটি দল।
এরপরই সোমবার থেকে হাসপাতালের চারতলায় এইচডিইউ চালু হয়েছে। এই ভবনে ডায়ালিসিস ইউনিটও রয়েছে। জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী বলেন, ‘‘ওখানে আপৎকালীন পরিস্থিতি সামলানোর পরিকাঠামো রয়েছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই করা হয়েছে।’’ চারতলায় আইসিসিইউ (ইনটেনসিভ ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট) থাকছে। চারতলাটি উপসর্গযুক্ত করোনা আক্রান্তদের জন্য ব্যবহৃত হবে। অতি সঙ্কটজনক রোগীদের আইসিসিইউ, এইচডিইউ-তে রাখতে হয়। ‘সিভিয়র অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস’ বা সারি রোগীদের জন্য একতলায় পৃথক ওয়ার্ড রয়েছে। এক সময়ে অক্সিজেনের অভাবে এখানে একাধিক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। হাসপাতালের সব ওয়ার্ডে পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, এখন এখানে ১৩টি ভেন্টিলেটর রয়েছে।