এক ব্যবসায়ীর দোকান বন্ধ করে দেওয়ায় নাম জড়াল তৃণমূলের। হলদিয়ার বনবিষ্ণুপুর এলাকার বালুঘাটা অঞ্চলের ঘটনা। স্থানীয় ব্যবসায়ী শঙ্করপ্রসাদ দাসের অভিযোগ, বালুঘাটা বাজারে তাঁর বিদ্যুৎ সরঞ্জামের দোকান জোর করে বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় আর এক ব্যবসায়ী উত্তম দাস। এই উত্তমবাবু আবার স্থানীয় তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত। আবার উত্তম দাসের অভিযোগ, শঙ্করবাবুই তাঁর জমি দখল করে রেখেছেন। ভবানীপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, দুই ব্যবসায়ীর গণ্ডগোলের জেরে এই ঘটনা। সমস্যাটি নিয়ে দুপক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত চলছে।
ব্রজলালচক থেকে টাউনশিপ যাওয়ার পথে বালুঘাটা বাজারের চৌমাথায় পড়ে শঙ্করপ্রসাদ দাসের এই বিদ্যুৎ সরঞ্জামের দোকান। হলদিয়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় ২০ বছর ধরে ব্যবসা করেন তিনি। শঙ্করবাবুর দোকানের পাশেই উত্তম দাস ঠিকাদারি ব্যবসার মালপত্র রাখেন। কিন্তু শঙ্করবাবুর জায়গাটিও উত্তম দাস দখল করতে চান বলে অভিযোগ। শঙ্করবাবুর কথায়, ‘‘আমার দোকানের সামনে লোহার পাইপ ফেলে রেখেছে। একমাস ধরে দোকান খুলতে পারছি না। পাইপ সরাতে গেলে আমাকে মারধর করা হচ্ছে।’’ আর উত্তম দাসের দাবি, “আমার জমির অংশ শঙ্করপ্রসাদ দখল করে রেখেছে। ওকে সেই জমি ছেড়ে দিতে বলেছিলাম। সে কথা শোনেনি। তাই ওর দোকান বন্ধ
করে দিয়েছি।”
এ বিষয়ে গত ৮ জুন ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শঙ্করপ্রসাদ দাস। কিন্তু তারপরও সমস্যার সমাধান হয়নি। এরপর আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। হলদিয়া মহকুমা আদালত ভবানীপুর থানার ওসিকে সত্য ঘটনা উদঘাটনের নির্দেশ দেয়। তারপরও কিছু হয়নি। এ বিষয়ে মহকুমার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ জানান, “অভিযোগটি আমি শুনেছি। ভবানীপুর থানার ওসিকে ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট দ্রুত জমা
দিতে বলেছি।’’
বালুঘাটা এলাকাটি পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড। উত্তম দাস দলের কর্মী স্বীকার করে এলাকার তৃণমূল যুব সভাপতি জয়দেব দাস বলেন, ‘‘উত্তম আমাদের দলের এই এলাকার তৃণমূল যুব সহ-সভাপতি। যদি ওই ব্যক্তি অন্যায় করে থাকে তাহলে দলের তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’