ঝাড়গ্রামে পথ অবরোধ। নিজস্ব চিত্র।
দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন অক ব্যক্তি। চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় অজিত শিট নামে ওই ব্যক্তির। কিন্তু মৃত্যুর পরেও দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। পরে হাসপাতালের তরফে জানানো হয় মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে না। কারণ ওই ব্যক্তির করোনা ধরা পড়েছে। এর পরই দেহ পাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়।
অবরোধের ফলে ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া ৫ নম্বর রাজ্য সড়কে নাকাল হন সাধারণ মানুষ। বিনপুর থানার রথবেড়া এলাকায় সকাল ৬টা থেকে অবরোধ শুরু করলেও পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়।
গত শুক্রবার রেশন দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে রথবেড়া মোড়ের কাছে এক পিকআপ ভ্যান ধাক্কা মারে অজিতকে। উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নিয়ম মেনে করোনা পরীক্ষায় করলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। যে গাড়িটি ধাক্কা মারে তার মালিক অজিতকে ঝাড়গ্রাম থেকে হাওড়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। বুধবার রাতে সেখানেই মারা যান অজিত। এর পর দেহ পেরত পাওয়া এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে পথ অবরোধ হয়।