ফ্রিজারে বাসি মাংস! 

পুরসভার এক সূত্রে খবর, ওই সব রেস্তরাঁর বেশ কয়েকটিতে সযত্নে ফ্রিজারে রাখা ছিল বাসি মাংস। নমুনা সংগ্রহ করে বাকি বাসি মাংস ফেলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় পরিদর্শক দল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৮ ০০:০৭
Share:

ফেলে দেওয়া হচ্ছে রান্না করা মাংস। মেদিনীপুরে। নিজস্ব চিত্র

কেরানিতলায় সুইমিং পুলের অদূরে কয়েকটি রেস্তরাঁয় ঢুকেই চক্ষু চড়কগাছ!

Advertisement

পুরসভার এক সূত্রে খবর, ওই সব রেস্তরাঁর বেশ কয়েকটিতে সযত্নে ফ্রিজারে রাখা ছিল বাসি মাংস। নমুনা সংগ্রহ করে বাকি বাসি মাংস ফেলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় পরিদর্শক দল। সেই মতো বাসি মাংস ফেলে দিতেও বাধ্য হন রেস্তরাঁর কর্মীরা।

বিভিন্ন জায়গায় রেস্তরাঁয় মাংসের মান পরীক্ষা করছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন শহরেও মান পরীক্ষার নির্দেশ এসেছে। সেই মতো বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে অভিযান হয়। শুরুতে পুরপ্রধান প্রণব বসুর সঙ্গে আলোচনা সারে পরিদর্শক দলটি। পরে পুরপ্রধানের নির্দেশ মতো একের পর এক এলাকায় হানা দেওয়া হয়। প্রথমে দলটি যায় সিপাইবাজারে, পরে কেরানিতলায়। অভিযানের গোড়াতেই ধরা পড়ল অনিয়ম!

Advertisement

পরিদর্শক দলের নেতৃত্বে থাকা পুরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সুশান্ত মহাপাত্রও মানছেন, “কিছু রেস্তরাঁর মাংস দেখে সন্দেহ হয়। মাংস মজুত ছিল। দেখে মনে হয়েছে, ওগুলো টাটকা নয়, বাসি মাংস।” তিনি বলেন, “পরীক্ষার জন্যই মাংসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সব দিক দেখে কড়া ব্যবস্থাই নেওয়া হবে।” পরিদর্শক দলের এক সদস্য মানছেন, “রেস্তরাঁয় ঢুকে গা ঘিনঘিন করছিল। কেমন সব গন্ধ। দেখি ফ্রিজারে রাখা গ্রেভি থেকেও কেমন গন্ধ বেরোচ্ছে।” রেস্তোরাঁগুলোর অবশ্য দাবি, মাংস খুব বাসি নয়! বুধবারেই কেনা। পুরসভা সূত্রে খবর, মেদিনীপুরে এমন অভিযান এখন চলবে। অতর্কিতে হানা দেবে পুরসভার পরিদর্শক দল।

মেদিনীপুর শহরে এমন রেস্তরাঁর সংখ্যা কম নয়, শতাধিক। রাস্তার পাশে ঘুপচি দোকান। কোনওটা পাঁচ ফুট বাই সাত ফুটের। কোনওটা আরও কম! শহরের প্রায় সর্বত্রই ইতিউতি গজিয়ে উঠেছে ফাস্টফুডের দোকান। কমবেশি প্রায় সব রেস্তরাঁয় মেলে চাইনিজ ও কন্টিনেন্টাল পদ। এই সব রেস্তরাঁয় নিয়মিত খাবারের মান যাচাই করার কথা পুরসভার। কিন্তু সেই পরিকাঠামো নেই মেদিনীপুরে। কর্মীর অভাব। পুরসভার এক সূত্র মানছে, রাজ্যের নির্দেশে ভাগাড় কাণ্ডের পরপরই এমন অভিযানের তোড়জোড় শুরু হয়। না হলে খাবারের মান যাচাইয়ে অভিযানের তেমন পরিকাঠামো পুরসভার নেই। এ দিন দেখা যায়, অনেক রেস্তরাঁর লাইসেন্সও নেই। এক পুরকর্তার আশ্বাস, “খাবারের মান দেখতেই অভিযান শুরু হয়েছে। এই অভিযান চলবে। নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement