—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মকর সংক্রান্তি ঠিক আগে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি আটক করেছে রামনগর থানার পুলিশ। উৎসবের আবহে প্রশাসনের কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই বেআইনি বাজি উদ্ধার।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে রামনগরের ঠিকরা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। সে সময় বাজি ভর্তি দুটি গাড়ি আটক করে পুলিশ। প্রায় দশ কুইন্টাল নিষিদ্ধ বাজি এবং বাজি তৈরির মশলা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। সুমন কল্যাণ বেরা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার ধৃতকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত ব্যবসায়ী সুমন এই বাজি এবং বাজি তৈরির মশলা ওড়িশা থেকে নিয়ে এসেছিল। দিঘা ও আশপাশের এলাকার মেলায় এগুলি বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল তার।
প্রসঙ্গত, গত বছর মে মাসে এগরার খাদিকুলে বেআইনি বাজি কারখানায় নিষিদ্ধ বাজি তৈরি করার সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে মৃত্যু হয় ১১ জনের। তারও আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভূপতিনগরের নাড়ুয়াবিলাতে বিস্ফোরণ ঘটে মৃত্যু হয় তিন জনের। গত বিধানসভা ভোটের পরে খেজুরির পশ্চিম ভাঙনমারিতে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় দু’জনের। বারবার বিস্ফোরণের ঘটনার জেরে আতসবাজি নিষিদ্ধ করেছে রাজ্য সরকার। গত বছর খাদিকুলে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন," বুজ বাজির ক্লাস্টার গড়ে তোলা হবে"। যদিও কিছু গড়ে ওঠেনি। লুকিয়েচুরিয়ে নিষিদ্ধবাজির ব্যবসার খবর জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই আসছিল।
নববর্ষ ও বর্ষ বিদায় উপলক্ষে দিঘা, মন্দারমণি-সহ জেলা জুড়ে দেদার শব্দবাজি ফেটেছে। মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে দিঘা, শঙ্করপুর, শৌলায় হচ্ছে গঙ্গোৎসব। যার সূচনা করেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের কারা মন্ত্রী অখিল গিরি। রামনগরের বালিসাইতে ও তুলসীচারা মেলা শুরু হচ্ছে। এমন উৎসবের আবহে এলাকায় আর কোথাও নিষিদ্ধ বাজি মজুত করা হয়েছে কিনা তার সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে রামনগর থানার পুলিশ। তাতেই এই বাজি ধরা পড়েছে। এ বিষয়ে ডেপুটি সুপার ইন টেন্ড (ড্রাগ এন্ড থেরাপিউটিক) রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন," বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৮ কুইন্টাল বাজি উদ্ধার করা হয়েছে।এক জন গ্রেফতার হয়েছে। উপকূলের সব থানাকে উৎসবের মরসুম বাজি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।’’