চিকিৎসক হতে চায় রাকেশ, সাদ্দাম

ছোট থেকেই অভাব বারবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চলার পথে। তবে হার না মানা মনোভাবের জোরেই মাধ্যমিকে সফল ঘাটালের রাকেশ ভৌমিক ও সাদ্দাম হোসেন। মাধ্যামিকে খুকুরদহ আইসিএমএম হাইস্কুলের ছাত্র রাকেশ ভৌমিক ৬৫১ নম্বর পেয়েছে। বরুনা স্কুলের ছাত্র সাদ্দাম হোসেনও ৬৪৩ নম্বর পেয়েছে। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় সফল হয়ে রাকেশ ও সাদ্দাম দু’জনেই চিকিৎসক হতে চায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৫ ০১:৫৬
Share:

ছোট থেকেই অভাব বারবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চলার পথে। তবে হার না মানা মনোভাবের জোরেই মাধ্যমিকে সফল ঘাটালের রাকেশ ভৌমিক ও সাদ্দাম হোসেন। মাধ্যামিকে খুকুরদহ আইসিএমএম হাইস্কুলের ছাত্র রাকেশ ভৌমিক ৬৫১ নম্বর পেয়েছে। বরুনা স্কুলের ছাত্র সাদ্দাম হোসেনও ৬৪৩ নম্বর পেয়েছে। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় সফল হয়ে রাকেশ ও সাদ্দাম দু’জনেই চিকিৎসক হতে চায়।

Advertisement

খুকুরদহ বাজারে রাকেশের বাবার একটি সাইকেল সারানোর দোকান রয়েছে। রাকেশের বাবা তাপস ভৌমিকের কথায়, ‘‘সামান্য রোজগারে সংসারই ঠিকমতো চালাতে পারি না।’’ তাঁর আক্ষেপ, ‘‘ছেলের ডাক্তারি পড়া স্বপ্ন, সরকারি সাহায্য না পেলে হয়তো ওর পড়াশোনাই বন্ধ করে দিতে হবে।’’ রাকেশের কথায়, “পড়াশোনার এত খরচ কী ভাবে চালাব, বুঝতে পারছি না।’’

সাদ্দামের বাবা মুরসেদ আলিরও রোজগার কম। মাধ্যমিকে সকলের সাহায্য নিয়ে কোনও ভাবে চলে গিয়েছে। তবে একাদশ শ্রেণিতে পড়ার খরচ নিয়ে চিন্তায় মুরসেদ। তিনি বলেন, ‘‘ছেলের স্বপ্ন চিকিৎসক হবে। এখনই যা পড়ার খরচ শুনছি, কী করে চলবে জানি না।’’ সাদ্দামের কথায়, ‘‘কেউ সাহায্য করলে খুব ভাল হয়। না হলে কী হবে বুঝতে পারছি না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement