পুজো মানেই গ্রাম থেকে শহরে গিয়ে ঠাকুর হিড়িক। আর সেই ভিড় সামলাতে ট্রেন একেবারে লাইফ লাইনের কাজ করে। ঠেসাঠেসি ভিড়ে ট্রেনে নানা বিপদও হয়। চুরি, ছিনতাই থেকে ইভটিজিং, নানা ঘটনা ঘটে। এ বার তাই পুজোর ট্রেন যাত্রায় নিরাপত্তা বজায় রাখতে উদ্যোগী হল রেলের অপরাধদমন শাখা। রেল পুলিশ, রেল সুরক্ষা বাহিনীর ট্রেন এসকর্ট দলের সঙ্গে হাত মিলিয়েই এই কাজ করা হবে।
খড়্গপুর রেল ডিভিশনের অপরাধদমন শাখা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ডিভিশনের বেশ কয়েকটি স্টেশন ও ট্রেনে নজরদারি চালাবেন দফতরের আধিকারিকেরা। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলেই ভাল করে খেয়াল করা হবে তার হাবভাব। পকেটমার, ইভটিজার, ছিনতাইবাজ হিসেবে যারা পরিচিত মুখ, তাদের দেখলেই পাকড়াও করে রেল পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে। আর ট্রেনে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে মহিলা যাত্রীদের উপর। রাতে যাতে কোনও মহিলা দর্শনার্থী বিপদে না পড়েন, তা সুনিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছে অপরাধদমন শাখা।
রেলের খড়্গপুর ডিভিশনের অপরাধদমন শাখার ওসি শিশিরকুমার দাস বলেন, “রেলযাত্রীদের নিরাপত্তায় রবিবার রাত ১২টা থেকেই অভিযান চলবে। সন্দেহভাজনদের গতিবিধি নজরে রাখা হবে। ট্রেন যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে পুজো কাটাতে পারেন, সেই চেষ্টা করা হবে।”
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজো-সহ উৎসবের মরসুমে প্রতিবছরই যাত্রী নিরাপত্তায় নানা ব্যবস্থা করা হয়। রেল সুরক্ষা বাহিনীর বিশেষ এসকর্ট দল প্রতিটি ট্রেনে নজরদারিও চালায়। কিন্তু তার পরেও ফাঁক থেকে যায়। তাই এ বার মাঠে নামছে রেলের অপরাধদমন শাখা। খড়্গপুর, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, সাঁতরাগাছি, বাগনান-সহ ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনে নজরদারি চলবে। রাতে ট্রেন না পেয়ে প্ল্যাটফর্মে থেকে যাওয়া মহিলা যাত্রীরা বিপদে না পড়েন, তাও দেখা হবে। পাশাপাশি ডাউন উৎকল এক্সপ্রেস, ডাউন জগন্নাথ এক্সপ্রেস, পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস, হাওড়া-হাতিয়া এক্সপ্রেস, আজাদহিন্দ এক্সপ্রেসে বিশেষ নজরদারি চালানো হবে বলেও জানানো হয়েছে।