চলছে রাস্তার কাজ। নিজস্ব চিত্র
পূর্তের কাজ করতে হয়েছিল পুলিশকে। তার দু’দিন পর শেষমেশ নিজের কাজেই মন দিল পূর্ত দফতর।
একে রাস্তা খারাপ, সঙ্গে দোসর রাস্তা ভর্তির গর্ত। যার জেরে ঘাটাল-পাঁশকুড়া সড়কে পর পর ঘটছিল দুর্ঘটনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং স্থানীয়দের দাবি মেনে দাসপুর থানার পুলিশ বেলেঘাটা এবং বকুলতলায় দু’টি গর্ত ভরাট করে দেয়। এরপরই বৃহস্পতিবার থেকে সেই গর্তগুলি ভরাটের কাজ শুরু করল পূর্ত সড়ক দফতর। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তা মেরামতের কাজ চলছে একেবারেই জোড়াতালি দিয়ে।
তবে ঘাটালের এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি কবে ঢেলে সংস্কার এবং সম্প্রসারণের কাজ শুরু হবে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট ভাবে কিছুই জানাতে পারছেন না পূর্ত সড়ক বিভাগের আধিকারিকরা। কিন্তু সমস্যাটা ঠিক কোথায়? দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল অবস্থা ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কের। এতদিন ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কটি ভারতমালা প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির জন্য কথাবার্তা চলছিল। তাই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহণের প্রক্রিয়াও শুরু করেছিল। কিন্তু সেটি এখন ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা জানা নেই জেলা প্রশাসনের কর্তাদের। রাস্তাটি ঢেলে সংস্কার করতে গেলে দরকার বিপুল টাকা। কারণ, শুধু সংস্কারই নয়, করতে হবে রাস্তা সম্প্রসারণও।
পূর্ত সড়ক দফতরের এক সূত্রের খবর, কয়েক বছরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেশিরভাগ রাজ্য সড়ক ঢেলে সংস্কারের সঙ্গে সম্প্রসারণের কাজও হয়েছে। কিন্তু ভারতমালা প্রকল্পে রাস্তাটি চলে যাওয়ায় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ নতুন ভাবে রাস্তাটি তৈরি করার কথা ছিল। তার জেরেই এমন অবস্থা ঘাটালের ঘাটাল-পাঁশকুড়া সড়কের। টাকা বরাদ্দ না হওয়া জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার ছাড়া বিশেষ কোনও কাজ হয়নি। এই অবস্থায় ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন, যে সরকারই করুক দ্রুত সংস্কার করা না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপদ হবে।
এই রাস্তায় চলাচল করা বাসের মালিকরাও চাইছেন, রাস্তা দ্রুত মেরামত হোক। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাস্তা খারাপের জেরে গন্তব্যে পৌঁছতে বেশি সময় লাগছে। পরিস্থিতি এমনই যে, গত দু’মাসে ২০টিরও বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে এই সড়কে। যাতে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। পূর্ত সড়ক দফতরের নিবার্হী বাস্তুকার (মেদিনীপুর) তপোজ্জ্বল মণ্ডল বলেন, “রাস্তাটি সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন গর্ত ভরাট-সহ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে।”