রাস্তার দৈর্ঘ্য হলদিয়ার মাখনবাবুর বাজার থেকে ইন্ডিয়ান অয়েল এমপ্লয়িজ ক্লাব পর্যন্ত। প্রায় তিন মাস ধরে বেহাল এই রাস্তা এখন পথচারী থেকে যানচালকদের কাছে বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বর্ষা। প্রতিদিন কয়েক হাজার হাজার মানুষের পথচলা এই রাস্তায়। একাধিক শিল্প সংস্থার আবাসন রয়েছে এই এলাকায়। ওই সব আবাসনের বাসিন্দারা এবং বেশ কয়েকটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা এই রাস্তা ব্যবহার করেন।
এলাকার মানুষের দাবি, রাস্তা মেরামতির জন্য বার বার তাঁরা প্রশাসনকে জানালেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। উল্টে মেরামতির পরিবর্তে ভাঙা ইট দিয়েই রাস্তার গর্ত বোজানোর চেষ্টা হয়েছে। পুরসভার দাবি, রাস্তাটি হলদিয়া বন্দরের। মেরামতি করার দায়িত্বও তাদেরই। রাস্তার উপরেই টাঊনশিপ এলাকার সবচেয়ে বড় বাজার ও মার্কেট কমপ্লেক্স রয়েছে। তা ছাড়া এই রাস্তায় বাসও চলাচল করে। কিন্তু তার পরেও রাস্তার সংস্কার হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বন্দরের জায়গায় বেহাল যাত্রী বিশ্রামাগ্রারের কথা বারবার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও বন্দর সংস্থার টনক নড়েনি। তাই রাস্তার জন্য তারা কতটা উদ্যোগী হবে তা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে বাসিন্দাদের। বাধ্য হয়ে তাঁরা রাস্তা সারানোর দাবিতে সোস্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেছেন। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে রাস্তা নিয়ে এলাকার মানুষের ক্ষোভ। স্থানীয় বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত ইন্ডিয়ান অয়েলকর্মী অক্ষয় সেন, একটি বেসরকারি সংস্থার আধিকারিক দিলীপ কুলভি ফেসবুকে রাস্তাটি মেরামতির জন্য সরব হয়েছেন।
রাস্তার খারাপ দশার কথা মানছেন হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও বর্তমান কাউন্সিলর দেবপ্রসাদ মণ্ডল। তিনি জানান, এক বছর আগে পুজোর সময় রাস্তায় ইট ফেলেছিলাম। তার পর পূর্ণাঙ্গ ভাবে মেরামতি না হওয়ায় এমন অবস্থা হয়েছে। হলদিয়া টাউনশিপের রাস্তাগুলি সারানোর জন্য বন্দর, তৈলশোধনাগার ও হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ এবং পুরসভাকে নিয়ে একটি কমিটিও হয়। কিন্তু সেই কমিটি সেই অর্থে কাজ করতে পারেনি।
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুধাংশু মণ্ডল জানান, পুর পারিষদদের মিটিংয়ে রাস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওই রাস্তা সারাতে তাঁরা উদ্যোগী হচ্ছেন। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের সিইও বিভু গোয়েল জানান, হলদিয়া টাউনশিপ থেকে দুর্গাচক পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার রাস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া টাউনশিপের অন্য রাস্তা নিয়েও ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে।