মিছিলের নেতৃত্বে তাপস মাজি (চোখে রোদ চশমা)।—নিজস্ব চিত্র।
দলীয় কার্যালয়ে এলাকার সব স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের ডেকে বৈঠক করা নিয়ে সমালোচনার পরও কোনও হেলদোল নেই শাসকদল তৃণমূলের। রবিবার সকাল ১০ টা থেকে পটাশপুরের সিংদা বাজার এলাকায় ২১শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি উপলক্ষে যে মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল, সেখানেও নেতৃত্ব দিলেন শিক্ষকদের তলবে অভিযুক্ত পটাশপুর-১ ব্লক সভাপতি তাপস মাজিই।
প্রসঙ্গত, গত ২ জুলাই পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর-১ ব্লকের সমস্ত স্কুলে ব্লক তৃণমূলের তরফে চিঠি পাঠানো হয়। তাতে জানানো হয়েছিল, এলাকার প্রতিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের স্কুলের পঠন-পাঠন, পরিকাঠানো উন্নয়ন, মিড-ডে মিল, সংগঠন ইত্যাদি নিয়ে আলোচনার জন্য শনিবার দুপুর ২টোয় সরিদাসপুরে তৃণমূলের পার্টি অফিসে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। শাসক দলের নির্দেশ মেনে শনিবার দুপুরে সরিদাসপুরে তৃণমূলের কার্যালয়ে হাজিরও হন এলাকার বহু স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
এ দিন তাপসবাবু জানান, আগামী ১৫ জুলাই সিংদা থেকে অমর্ষি পর্যন্ত মহামিছিলের মাধ্যমে বিরোধীদের অপপ্রচার ও ২১ জুলাই সমাবেশের জন্য মিছিল ও সভার ডাক দেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে দুষে তাঁর অভিযোগ, ‘‘প্রচার মাধ্যমের একাংশ অকারণে আমাকে হেনস্থা করছে। ওই ঘটনায় আমার দোষ ছিল না।’’ কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলের তরফে এলাকার সব স্কুলের প্রধান শিক্ষককে এভাবে দলের কার্যালয়ে তলব করা যায়? ঢোঁক গিলে তাপসবাবুর দাবি, ‘‘হয়তো দলের শিক্ষা সেলের কর্মকর্তাদের নামে ওই চিঠি করলে ভাল হত। তবে এলাকার স্কুলগুলির ভাল করার জন্যই দলের শাখা সংগঠনের হয়ে বৈঠক ডেকেছিলাম।’’
তৃণমূলের দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী শিক্ষার বিষয়টি দেখার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন দলের শিক্ষা সেলকে। এদিনের ঘটনা নিয়ে এগরা মহকুমার পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল সেকেন্ডারি শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি কনককান্তি দাসের বক্তব্য, ‘‘জেলা শিক্ষা সেলের সদস্যদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ঠিক হয়েছে, শিক্ষা বিষয়ের কোনও সভা হলে তা ডাকবে দলের শিক্ষক সংগঠনের পদাধিকারীরা। তবে তাপসের ঘটনা নিয়ে এত হইচইয়ের কিছু নেই।’’
এ দিনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী।