প্রতীকী ছবি
এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর তিনদিন কেটে যাওয়ার পরেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। ঘটনাটি খেজুরির চৌদ্দোচুল্লি গ্রামের। অভিযুক্তরা শাসক দলের সমর্থক হওয়ায় পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে দাবি কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি নেতৃত্বের। যদিও ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির সংযোগ নেই বলে পাল্টা দাবি করেছে শাসক দল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৬ মার্চ খেজুরি থানার চৌদ্দোচুল্লি গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে চন্দনা দাস দিন্দা নামে এক মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তারপর দেহ কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার আগেই ওই মহিলা উপরে দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মানসিক এবং শারীরিক ভাবে অত্যাচার চালাত বলে খেজুরি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলার দাদা তপন দাস। অভিযোগের ভিত্তিতে মহিলার স্বামী বাপি-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ২২ বছর আগে জাহানাবাদ গ্রামের বাসিন্দা চন্দনার সঙ্গে বিয়ে হয় চৌদ্দপল্লি গ্রামের বাপির। তাঁদের দুটি ছেলেও রয়েছে। যদিও প্রায়ই মহিলাকে মারধরও করা হত বলে তাঁর বাপের বাড়ির লোকের অভিযোগ। বুধবার চন্দনার বাপের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে দেখা করে জেলা বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক তাপস দোলইয়ের অভিযোগ, ‘‘অভিযুক্তরা সকলেই তৃণমূল আশ্রিত। তাই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না।’’
অভিযোগ অস্বীকার করে মহিলার মৃত্যুর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডল। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘পারিবারিক বিবাদেও রাজনীতির রং চড়াতে চাইছে বিজেপি। আসলে গোমূত্র খাওয়ানোর লোকদের কাছে এর চেয়ে বেশি কিছু ভাল আশা করা যায় না।’’
অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা নিয়ে কাঁথির এসডিপিও অভিষেক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজন মাফিক ব্যবস্থা নিশ্চয়ই নেওয়া হবে।’’