প্রণমি: মূর্তি উদ্বোধনে সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। নিজস্ব চিত্র
মেদিনীপুর বিপ্লবীদের ভূমি। বিপ্লবীদের স্মৃতি রক্ষায় এখানে সংগ্রহশালা হলে পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য।
রবিবার মেদিনীপুরে আসেন প্রদীপবাবু। দুই বিপ্লবীর মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন তিনি। পরে তাঁকে সংগ্রহশালা তৈরির পরিকল্পনা জানান কাউন্সিলর সৌমেন খান। সাংসদ তহবিলের অর্থ সহায়তার আর্জিও জানান। সায় দেন বর্ষীয়ান ওই কংগ্রেস নেতা। প্রদীপবাবুকে বলতে শোনা যায়, “যে সহযোগিতা প্রয়োজন করব। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে জমা দেবেন।” তাঁর কথায়, “এমন কাজে পাশে থাকতে পারলে আমারই ভাল লাগবে।”
১৯৩৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর খুন হন মেদিনীপুরের তত্কালীন জেলাশাসক বার্জ। মেদিনীপুরের মাঠে সেদিন পুলিশের সঙ্গে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের খেলা ছিল। প্র্যাকটিসের ছলে বল নিয়ে মাঠে নামেন অনাথবন্ধু পাঁজা এবং মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত। বাকিটা ইতিহাস। বিপ্লবীদের হাতে খুন হন বার্জ। বার্জ হত্যা মামলায় ফাঁসির আদেশ হয়েছিল ব্রজকিশোর চক্রবর্তী এবং রামকৃষ্ণ রায়ের। ইংরেজদের গুলিতে মাঠে প্রাণত্যাগ করেন অনাথবন্ধু। গুরুতর জখম হয়ে পরের দিন হাসপাতালে প্রাণত্যাগ করেন মৃগেন্দ্রনাথ। দিনটিকে স্মরণে রেখে রবিবার মেদিনীপুর শহরের পালবাড়িতে দুই বিপ্লবীর আবক্ষ মূর্তি বসানো হয়েছে। স্মৃতি রক্ষা সমিতির উদ্যোগে এই কর্মসূচি। সমিতির সভাপতি তথা কাউন্সিলর সৌমেনবাবুর ডাকে সাড়া দিয়ে মূর্তির আবরণ উন্মোচন অনুষ্ঠানে আসেন সাংসদ প্রদীপবাবু। আসেন জেলা পরিষদের সহ- সভাধিপতি অজিত মাইতি, বিধায়ক দীনেন রায়, পুরপ্রধান প্রণব বসু প্রমুখ। ছিলেন মেদিনীপুর টাউন স্কুলের (বালক) প্রধান শিক্ষক বিবেকানন্দ চক্রবর্তী সহ বিশিষ্টরাও।
সৌমেনবাবু বলেন, “আমরা শহরে একটা সংগ্রহশালা তৈরির পরিকল্পনা করছি। ইতিহাস ধরে রাখার জন্যই এই পরিকল্পনা।” শহরের এক প্রবীণ নাগরিকের কথায়, “মেদিনীপুরের ইতিহাস নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি। কিন্তু, এই ইতিহাসকে ধরে রাখা বা প্রচারের জন্য কোনও উদ্যোগ নেই।” স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, যে
সামান্য কিছু রয়েছে, তাও সময়ের থাবায় হারিয়ে যাবে না তো!