—ফাইল চিত্র
গত ২০ দিনে অন্তত ৫ বার হানা দিয়েছে হাতি। বিঘার পর বিঘা আলু ও অন্য ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তারপরেও বন দফতরের আধিকারিকদের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গা নেই বলে অভিযোগ। ক্ষতিপূরণ কবে মিলবে বা আদৌও মিলবে কি না সংশয়ে চাষিরা। বন দফতরের দাবি, ক্ষতিপূরণ নির্দিষ্ট সময়েই দেওয়া হবে।
মাসখানেকের বেশি সময় ধরে ১৬টি হাতির একটি দল চন্দ্রকোনার জঙ্গল লাগোয়া বিভিন্ন গ্রামে ফসলের ক্ষতি করছে। বন দফতর সূত্রে খবর, শনিবার ওই পালটি চন্দ্রকোনা থানার কামারখালির জঙ্গলে রয়েছে। যে কোনও সময়ে তারা ফের লোকালয়ে ঢুকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা চাষিদের। বৃহস্পতিবার রাতেও চাষের জমিতে নেমেছিল তারা। স্থানীয় চাষিদের দাবি, এই সময়ের মধ্যে কুঁয়াপুর, ধাধাবল্লবপুর, ধামকুড়া, সীতানগর, অযোধ্যা, নীলগঞ্জ, কলোনি, পানিছড়া, ভগবন্তপুর, কল্লা, খুড়শি, চৈতন্যপুর-সহ অনেক গ্রামে চাষের জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের বক্তব্য, চলতি মরসুমে এমনিতেই ধসা রোগের জন্য আলুচাষে ক্ষতি হয়েছে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে হাতির উপদ্রব। তাঁদের অভিযোগ, বন দফতর হাতি তাড়াতে ব্যর্থ। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চাষির দাবি, পর্যাপ্ত হুলা পার্টি থাকে না। তাই রাতে গ্রামবাসীদেরই হাতি তাড়াতে হয়। ফসলের ক্ষতির পরিদর্শনও ঠিকভাবে হচ্ছে না।
নিয়ম অনুযায়ী, হাতির হানায় ফসল নষ্ট হলে নির্দিষ্ট ফর্মে ক্ষতিপূরণের আবেদন করতে হয়। বন দফতর থেকেই ওই ফর্ম দেওয়া হয়। সেখানে জমির যাবতীয় তথ্য, ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করে চাষির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য জমা দিতে হয়। কাঠা প্রতি ১২০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ মেলে। চাষিদের ক্ষোভ, বাস্তবে যা ক্ষতি হয় তার থেকে অনেক কম ক্ষতিপূরণ পেলে। তারপর বিষয়টি সময় সাপেক্ষও বটে। যেমন গত বছর চন্দ্রকোনার বেশ কিছু গ্রামের চাষিরা এখনও ক্ষতিপূরণ পাননি। এরমধ্যেই আবার নতুন করে হাতির হানা ।
মেদিনীপুরের ডিএফও সন্দীপ কুমার বেরওয়ালের আশ্বাস, “সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ অফিস থেকে মৌজা ধরে জমি পরিদর্শন চলছে। ফর্মও দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়েই ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেওয়া হবে।চাষিদের চিন্তার কারণ নেই।”