পার্থ যাদব। —নিজস্ব চিত্র।
সিপিএমের ঝাড়গ্রাম শহর জোনাল সম্পাদক পদে রদবদল হল। শনিবার রাতে ঝাড়গ্রামে দলের এক সাংগঠনিক সভায় নতুন শহর জোনাল সম্পাদক পদে সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হলেন পার্থ যাদব। বিদায়ী জোনাল সম্পাদক প্রদীপ সরকার মাস খানেক আগে সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। সিপিএম সূত্রের খবর, প্রদীপবাবু যেহেতু জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য হয়েছেন, সেই কারণে দলের নীতি অনুসারে তাঁকে জোনাল সম্পাদকের পদ থেকে সরে যেতে হল।
শনিবার সিপিএমের ঝাড়গ্রাম শহর জোনাল কার্যালয়ে দলের সাংগঠনিক সভায় হাজির ছিলেন জেলা সম্পাদক তরুণ রায় ও জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য বিজয় পাল। জেলা সম্পাদকের উপস্থিতিতে শহর জোনাল সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দেন প্রদীপবাবু। এরপর প্রদীপবাবুই নতুন জোনাল সম্পাদক হিসেবে পার্থবাবুর নাম প্রস্তাব করেন। সভায় ১০ জন জোনাল কমিটির সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সকলের সমর্থনে সর্বসম্মতিক্রমে জোনাল সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন পার্থবাবু।
৪২ বছরের পার্থবাবু শহরের একটি স্কুলের শিক্ষাকর্মী। নব্বইয়ের দশকে সিপিএমের দলীয় সদস্য হন তিনি। ২০০৭ সালে সিপিএমের ঝাড়গ্রাম শহর ২ নম্বর লোকাল কমিটির সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওই সময় থেকেই তিনি শহর জোনাল কমিটিরও সদস্য। এ বছরের গোড়ায় সিপিএমের জেলা সম্মেলনের পরে পার্থবাবুকে জেলা কমিটির অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২ নম্বর শহর লোকাল কমিটির সম্পাদকের পদ থেকে তাঁকে অব্যহতি দেওয়া হয়।
সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক তরুণ রায় বলেন, “প্রদীপ সরকার জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য হওয়ায় তাঁর দলীয় কাজের পরিধি অনেক বেড়ে গিয়েছে। সেই কারণেই সর্বসম্মতিক্রমে পার্থ যাদবকে ঝাড়গ্রাম শহর জোনাল কমিটির সম্পাদকের দায়িত্ব
দেওয়া হয়েছে।”
এ প্রসঙ্গে পার্থবাবুর প্রতিক্রিয়া, “শহরবাসীর স্বার্থে মানুষের অধিকার রক্ষার লড়াইটা চালিয়ে যাব। শাসক দলের নীতিহীনতা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধেও মানুষকে সংগঠিত করব।”