দুয়ারে সরকার শিবির। —ফাইল চিত্র।
চলছে দুয়ারে সরকার শিবির। এতেই ঘুম ছুটেছে নবনির্বাচিত প্রধানদের। উপভোক্তাদের শিবিরের বিষয়ে জানাতে গ্রামে গ্রামে গিয়ে বলে আসতে হচ্ছে তাঁদের। কেউ জাতিগত শংসাপত্রের জন্য গ্রামে গিয়ে বংশপঞ্জি করে দিচ্ছেন, তো কেউ পরিযায়ী শ্রমিক খুঁজে খুঁজে তাঁদের হাতে প্রকল্পের আবেদনপত্র তুলে দিচ্ছেন।
গড়বেতা ১ ব্লকে দুয়ারে সরকার শিবির শুরু হয়ে গিয়েছে। নির্দিষ্ট দিনগুলিতে সেই শিবিরে যাতে মানুষ আসেন, সে জন্য পঞ্চায়েতের নবনির্বাচিত প্রধানেরা গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের জানিয়ে আসছেন। আগরা পঞ্চায়েতের প্রধান আজিম চৌধুরি সন্ধ্যা থেকে চলে যাচ্ছেন গ্রামে গ্রামে। গ্রামের এক জায়গায় বসে জাতিগত শংসাপত্রের জন্য কারও বংশপঞ্জিতে স্বাক্ষর করছেন, তো কারও বার্ধক্য ভাতার জন্য জানি-চিনি শংসাপত্র দিচ্ছেন। এই পঞ্চায়েতে দুয়ারে সরকার শিবির বসবে ৬ সেপ্টেম্বর। ইতিমধ্যে প্রধান গিলাবনি, নোহারি, আগরা গ্রামে গিয়ে উপভোক্তাদের আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও শংসাপত্র দিয়ে এসেছেন। আজিম বলছেন, ‘‘দুয়ারে সরকার শিবিরে যাঁরা যাবেন, তাঁরা যাতে সহজেই প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন করতে পারেন। সে জন্য গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষকে বলে আসছি, যাঁদের যা নথি দরকার দিয়ে আসছি।’’
বড়মুড়া পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান হাবিবুল শেখ পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে সরকারি প্রকল্পে আবেদন করার জন্য মানুষকে বলে আসছেন।
এই ব্লকের আমলাগোড়া, আমকোপা, ধাদিকা, শ্যামনগর পঞ্চায়েতে এ বার প্রধান পদে নতুন মুখ এসেছে। সদ্য নিযুক্ত প্রধান-উপপ্রধানেরা উৎসাহের সঙ্গে গ্রামে গ্রামে গিয়ে দুয়ারে সরকার শিবিরের প্রচারে নেমে পড়েছেন।
গড়বেতা ২ অর্থাৎ গোয়ালতোড় ব্লকের সব পঞ্চায়েতেই শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার শিবির। এ বার এই শিবিরে যুক্ত হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে এক নতুন প্রকল্প। নবনির্বাচিত প্রধান-উপপ্রধানরা পরিযায়ী শ্রমিকদের খুঁজে তাঁদের কাছে প্রকল্পের আবেদনপত্র পৌঁঁছে দিচ্ছেন। জোগারডাঙা পঞ্চায়েতের প্রধান গণেশ দত্ত বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সুবিধা যাতে প্রত্যেক পরিযায়ী শ্রমিক পান, তার জন্য প্রচার করা হচ্ছে।’’
গড়বেতা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনবন্ধু দে বলেন, ‘‘দুয়ারে সরকার শিবিরের কথা প্রতিটি গ্রামে গিয়ে বলা হচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের খোঁজ করে প্রকল্পের কথা বলা হচ্ছে।’’ গড়বেতা ৩ অর্থাৎ চন্দ্রকোনা রোড ব্লকেও সদ্য নিযুক্ত নতুন পঞ্চায়েত প্রধানরা দুয়ারে সরকার শিবিরের প্রচার করতে অনেক গ্রামেই যাচ্ছেন। নবনির্বাচিত এক প্রধান বলেন, ‘‘গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষের অভ্যর্থনাও পাচ্ছি, আমরাও বলছি দুয়ারে
সরকারে যেতে।’’