অনুষ্ঠানে সায়নী। দাসপুরের শ্যামগঞ্জে। ছবি: কৌশিক সাঁতরা
লক্ষ্য পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে জনসংযোগ বাড়াতে ফুটবল প্রতিযোগিতা করল শাসক তৃণমূল। শুধু তাই নয়। এলাকার ইতিহাস উস্কে সেই প্রতিযোগিতার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে ‘লবণ সত্যাগ্রহ কাপ’। একসময় লবণ তৈরি হত দাসপুরের শ্যামগঞ্জে। লবণ আইন অমান্য আন্দোলনের পীঠস্থানও ছিল। রবিবার সেই শ্যামগঞ্জে জোতঘনশ্যাম অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যেগে ওই প্রতিযোগিতায় হাজির ছিলেন তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ।
দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত ভোট। শাসক তৃণমূল অনেক আগেই অবশ্য ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে চলছে ‘দিদির সুরক্ষ কবচ’ কর্মসূচি। এ বার জনসংযোগ বাড়াতে ফুটবলকে বেছে নিল শাসক দল। রবিবার দাসপুর-২ ব্লকের শ্যামগঞ্জে স্থানীয় মাঠে চারদলীয় ফুটবল প্রতিযোগিতাটি হয়। স্থানীয় ছেলেদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল ফুটবল টিম। শ্যামগঞ্জের অতীত আবেগ উস্কে লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনের ঘটনাও প্রচার করেন তৃণমূল কর্মীরা।
একসময় এই শ্যামগঞ্জে ঘরে ঘরে লবণ তৈরি হত। তারসঙ্গে লবণ আইন অমান্য আন্দোলনও ছড়িয়ে পড়েছিল শ্যামগঞ্জ থেকে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে গান্ধীজির সেই ‘লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনে’ শ্যামগঞ্জের অবদান স্মরণ করিয়ে দিল তৃণমূল। বিপ্লবী কানাইলাল মাইতি একাদশ ও সুরেন্দ্রনাথ কুইলা একাদশ, ভোলানাথ দাস একাদশ ও ভক্তিনবিনোদ অধিকারী একাদশ এই চারটি টিমের খেলা হয়। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলে ওই প্রতিযোগিতা। প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
ওই প্রতিযেগিতায় হাজির থেকে আগামী পঞ্চায়েত ভোটে দিদির হাত শক্ত করতে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আর্জি জানান সায়নী। তারসঙ্গে সরকারের সমস্ত জনমুখী প্রকল্পের কথা স্মরণ করিয়ে দেন যুব সভানেত্রী। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের ঘাটাল সাংগাঠনিক জেলা সভাপতি আশিস হুতাইত, দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভুঁইয়া, জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র এবং দাসপুর-২ ব্লক সভাপতি সৌমিত্র সিংহরায়। উপস্থিত নেতৃত্বদের মুখে এ দিন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দলের ফুটবল সংস্কৃতির সঙ্গে এলাকার যুবসমাজকে কাছে টানতে শ্যামগঞ্জের বিখ্যাত লবণ আন্দোলনের কথা ফিরে আসে।
আশিস হুতাইত বলেন, “জোতঘনশ্যাম অঞ্চল তৃণমূলের উদ্যোগে ফুটবল খেলাটি হয়। শ্যামগঞ্জের অতীত গৌরব এলাকার তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হয়।”