সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বাম-কংগ্রেস জোটের বিক্ষোভ সমাবেশ। তমলুকে জেলাশাসকের দফতরের সামনে পার্থপ্রতিম দাসের তোলা ছবি।
দিন দুয়েক আগেই রাতের অন্ধকারে প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, দলের রাজ্য কমিটির সদস্য পুলিনবিহারী বাস্কের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। আর এ বার পূর্ব মেদিনীপুরের সিপিএম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহির বাড়ির সামনে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির শাসক দলের বিরুদ্ধে। আর জেলা সম্পাদকের বাড়িতে হামলা হল সেই দিন, যে দিন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ-অবস্থানে খোদ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ পাঁশকুড়ার রাতুলিয়া গ্রামে তৃণমূলের মিছিল বিজয় মিছিল চলছিল। এই অঞ্চলটি পশ্চিম পাঁশকুড়া বিধানসভার অন্তর্গত। অভিযোগ সেই মিছিল থেকেই নিরঞ্জনবাবুর বাড়িতে পরপর কয়েকটি বোমা ছোড়া হয়। নিরঞ্জনবাবু বাড়ি ছিলেন না। তাঁর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে হামলা চালানো হয়েছে। এই এলাকার বাসিন্দারা জোটের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। তাই ভয় দেখানোর চেষ্টাও চলছে।’’ পাঁশকুড়া থানায় চারজনের নামে অভিযোগও জানান তিনি। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্যের পিংলার বাড়িতেও হামলার অভিযোগ উঠেছে। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ পিংলার দুজিপুরে অন্তরাদেবীর বাড়িতে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী চড়াও হয়।
এ দিন বিকেলেই সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকের অফিসের সামনে। সেখানে হাজির ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেব-সহ বাম-কংগ্রেস নেতারা। মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ার দিয়ে সূর্যবাবু বলেন, ‘‘ভোট গণনার আগে থেকেই সন্ত্রাস চলছে। মানুষ আক্রান্ত হবে আর আমরা চা-মিষ্টি খাব, সেটা হবে না। তাই শপথ গ্রহণের আগের দিন আমরা রাস্তায় নেমেছি।’’ এক বছরের মধ্যেই নবান্ন অভিযানের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। এই সভা থেকে বাম-কংগ্রেস নেতারা যান শহরের নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন জখম দলীয় কর্মীকে দেখতে। সেখান থেকে
নিরঞ্জনবাবুর বাড়িতে ।
হামলার অভিযোগ মানতে চাননি পাঁশকুড়ার তৃণমূল ব্লক সভাপতি দীপ্তিকুমার জানা। তাঁর দাবি, ‘‘সিপিএমের লোকেরাই এমন কাণ্ড করেছে।’’ জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোয়িরা বলেন, ‘‘একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’