একশো দিনে গাছের পাট্টা বিলি হবে পশ্চিমে

গাছ থেকেই মিলবে আয়ের পথ। জীবন বাঁচাতে গাছের গুরুত্ব কতখানি, সেটা কারও অজানা নয়। একশো দিনের প্রকল্পে বনসৃজন নতুন নয়। তবে গাছ লাগানোর পর ক’জনই বা তার খবর রাখেন। ‘কৈশোর’-এর ধাপ পেরনোর অনেক আগেই হারিয়ে যায় অধিকাংশ চারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৬ ০০:১৯
Share:

গাছ থেকেই মিলবে আয়ের পথ। জীবন বাঁচাতে গাছের গুরুত্ব কতখানি, সেটা কারও অজানা নয়। একশো দিনের প্রকল্পে বনসৃজন নতুন নয়। তবে গাছ লাগানোর পর ক’জনই বা তার খবর রাখেন। ‘কৈশোর’-এর ধাপ পেরনোর অনেক আগেই হারিয়ে যায় অধিকাংশ চারা। ফের বর্ষা আসতেই নতুন চারা লাগানো হয়। ফল, সেই একই।

Advertisement

গাছের রক্ষণাবেক্ষণে এ বার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বৃক্ষপাট্টা দেওয়া হবে। আগেও অবশ্য জেলায় কয়েকজনকে বৃক্ষপাট্টা দেওয়া হয়। চারা গাছ লাগানোর পর সেগুলোর দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল একশো দিন প্রকল্পের জবকার্ডধারীদের। এ বার বৃক্ষপাট্টা দেওয়া বাধ্যতামূলক হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসনের এক কর্তা। প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েতেই বৃক্ষপাট্টা দেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, প্রকল্প নিয়ে জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনার সঙ্গে কথা বলেছেন একশো দিনের প্রকল্পে জেলার আধিকারিক মনমোহন ভট্টাচার্য। গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোকে প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

বৃক্ষপাট্টা দেওয়ার সিদ্ধান্ত অবশ্য এই প্রথম নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মতো গত বছর থেকে রাজ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে বৃক্ষপাট্টা দেওয়া শুরু হয়। বৃক্ষপাট্টার ‘পাইলট প্রজেক্টে’র কাজ হয় বর্ধমান জেলায়। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রের দাবি, ওই প্রকল্পে সাফল্য মিলেছে। মাস দেড়েক আগে একশো দিনের প্রকল্পের অগ্রগতি দেখতে রাজ্যে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা বর্ধমানের প্রকল্পের কাজ দেখে সন্তোষ
প্রকাশ করেন।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, একজন জবকার্ডধারীকে ৫০- ১০০ টি গাছ দেওয়া হতে পারে। চার জনের দলকে দেওয়া হতে পারে ২০০- ২৫০টি গাছ। সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পাট্টার সময়সীমা থাকবে। পাট্টা প্রাপকেরা আগাছা নির্মূল, গাছে সার দেওয়া, শুখা মরসুমে গাছে জল দেওয়া-সহ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবেন। গাছ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মজুরি মিলবে। পাশাপাশি, ফল ও কাঠের ভাগও পাট্টা প্রাপকেরা পাবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement