‘কোনও দিনই তামাক স্পর্শ করব না।’, স্কুলের প্রার্থনাসভায় শপথবাক্য পাঠ করল ছাত্রছাত্রীরা।
বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। স্কুল শুরুর দিনই এমন শপথবাক্য পাঠ হল কেশপুরের ঝেঁতল্যা হাইস্কুলে। প্রশাসনিক নির্দেশেই এ দিন এই কর্মসূচি হয়েছে বলে স্কুল সূত্রে খবর। এ দিন প্রার্থনা শেষের পরই মাইকে ঘোষণা করা হয়, সকলকে শপথবাক্য পাঠ করানো হবে। প্রার্থনা সভায় ছিল দশম শ্রেণির দেবতনু চৌধুরী, সৈকত সেন প্রমুখ। সৈকতদের বলতে শোনা গেল, ‘আমি ভালভাবে বেঁচে থাকার অঙ্গীকার করছি। এবং তাই আমি কোনও দিন তামাক স্পর্শ করব না। এবং অন্যদেরও তামাক থেকে দূরে থাকার জন্য বলব।’ আরও বলতে শোনা গেল, ‘আমি এই বিষয়টি নিয়ে সব সময়েই সোচ্চার হব। এবং পশ্চিমবঙ্গকে তামাকমুক্ত করে মানুষের জীবনকে সুরক্ষিত রাখার যে কোনও উদ্যোগের পাশে থাকব।’
বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন স্কুলে এ ভাবে প্রার্থনাসভায় পড়ুয়ারা শপথবাক্য পাঠ করেছে। প্রশাসন নিশ্চিত, এরফলে ছাত্রছাত্রীদের কাছে সচেতনতার বার্তা আরও সহজে পৌঁছেছে। কেশপুরের ঝেঁতল্যা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নারায়ণপ্রসাদ চৌধুরী বলেন, ‘‘এই উদ্যোগ সত্যিই ভাল। এ ভাবে সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমেই তামাক রোধ সম্ভব।’’ তিনি বলেন, ‘‘প্রার্থনাসভায় সকলেই এই শপথবাক্য পাঠ করেছে।’’ একই কথা জানাচ্ছেন শালবনির মৌপাল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রসূনকুমার পড়িয়া, ভাদুতলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিতেশ চৌধুরী প্রমুখ। মৌপাল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রসূনকুমার পড়িয়ার কথায়, ‘‘তামাক রোধে আগেও স্কুলে বিভিন্ন কর্মসূচি হয়েছে। তবে এই কর্মসূচি অন্য রকম।’’ ভাদুতলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিতেশ চৌধুরীর কথায়, ‘‘সচেতনতাই পারে তামাকজাতীয় বস্তুর ব্যবহার কমাতে।’’