নেই ছাউনি-পানীয় জল, বাসের অপেক্ষা রোদেই

ছাউনি নেই। পানীয় জলের ব্যবস্থাও নেই। কড়া রোদ হোক বা বৃষ্টি— যাত্রীদের ভরসা সেই ছাতাই! ছবিটা চৌরঙ্গির। চৌরঙ্গির উপর দিয়ে চলে গিয়েছে ৬ ও ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। একদিকে রেলশহর খড়্গপুর, অন্য দিকে জেলার সদর শহর মেদিনীপুর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৫৩
Share:

ছাতা মাথায় অপেক্ষা। চৌরঙ্গিতে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।

ছাউনি নেই। পানীয় জলের ব্যবস্থাও নেই। কড়া রোদ হোক বা বৃষ্টি— যাত্রীদের ভরসা সেই ছাতাই!

Advertisement

ছবিটা চৌরঙ্গির।

চৌরঙ্গির উপর দিয়ে চলে গিয়েছে ৬ ও ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। একদিকে রেলশহর খড়্গপুর, অন্য দিকে জেলার সদর শহর মেদিনীপুর। বহু লোক এখানে দূরদূরান্তের বাসের জন্য অপেক্ষা করেন। চৌরঙ্গিতে ছাউনি তৈরি করা নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে আগে একাধিক বার আলোচনা হয়েছে। এলাকা পরিদর্শনও হয়েছে। তবে কাজ এগোয়নি।

Advertisement

সমস্যার কথা মানছেন খড়্গপুর গ্রামীণের বিধায়ক দীনেন রায়। বিধায়কের আশ্বাস, এ বার কাজ হবে। দীনেনবাবুর কথায়, “চৌরঙ্গিতে যাত্রীদের জন্য ছাউনি থাকা দরকার। ওখানে দু’টি ছাউনি তৈরি করার জন্য প্রস্তাব রেখেছি। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।”

জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, দীনেনবাবুর বিধায়ক কোটার টাকা থেকে এই কাজ হবে। এক- একটি ছাউনির জন্য ব্যয় হবে প্রায় তিন লক্ষ টাকা। ওই সূত্রে খবর, বিধায়ক- কোটার টাকা থেকে সবমিলিয়ে সাতটি যাত্রী ছাউনি তৈরির প্রস্তাব রেখেছেন দীনেনবাবু। এরমধ্যে দু’টি হবে চৌরঙ্গিতে। বাকিগুলো কলাইকুণ্ডা-সহ অন্য এলাকায়। পানীয় জলের ব্যবস্থা কবে হবে? দীনেনবাবুর আশ্বাস, “যাত্রীদের আরও কিছু দাবি থাকলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পশ্চিম মেদিনীপুরের উপর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৮০০টি বেসরকারি বাস চলাচল করে। এই বাসগুলির বেশিরভাগই চৌরঙ্গির উপর দিয়ে যায়। আগের থেকে চৌরঙ্গির চেহারা অবশ্য বদলেছে। ইতিমধ্যে মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদ ‘এমকেডিএ’-র উদ্যোগে এলাকার সৌন্দর্যায়ন হয়েছে। বাগানও তৈরি করা হয়েছে। লাগানো হয়েছে নতুন আলো।

যদিও এলাকাটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। যাত্রীরা ন্যূনতম পরিষেবা পান না। নিয়মিত আবর্জনা সাফাই হয় না বলে অভিযোগ। সুলভ শৌচাগারও নেই। নেই কোনও ‘ডরমেটরি’ বা ‘রেস্ট রুম’ও। নিত্যযাত্রী সঞ্জীব ভট্টাচার্য, কুশল বিশ্বাসরা বলছেন, “চৌরঙ্গির মতো এলাকার আরও আধুনিকীকরণ দরকার। এখানে অনেকে বাসের জন্য অপেক্ষা করেন। ছাউনি ও পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকা উচিত। একটা ‘রেস্ট রুম’ও খুব দরকার।’’

ধৃত দুষ্কৃতী। মোটরবাইক চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল তমলুক থানার পুলিশ। রবিবার রাতে চন্দ্রকোনা টাউন থেকে শেখ আব্দুল বারি নামে ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক এলাকায় একাধিক মোটরবাইক চুরির ঘটনা নিয়ে অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। সন্ধান মেলে এক দুষ্কৃতী চক্রের। রবিবার তমলুক থানার পুলিশ চন্দ্রকোনায় গিয়ে শেখ আব্দুল বারিকে গ্রেফতার করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement