কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বৈঠকস্থল চূড়ান্ত করল বিজেপি। মেদিনীপুর শহরের স্পোর্টস কমপ্লেক্সে এই বৈঠক হবে বলে দলীয় সূত্রে খবর। ওই দিন কমপ্লেক্স ভাড়া দিতে সম্মত হয়েছেন কর্তৃপক্ষ। মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট একাডেমি এই কমপ্লেক্সের দেখভাল করে। একাডেমির চেয়ারম্যান দীপক সরকার। দীপকবাবু সিপিএমের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক। বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, “দলের ওই বৈঠক মেদিনীপুর শহরের স্পোটর্স কমপ্লেক্সে হবে। কমপ্লেক্স ভাড়ায় চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ সম্মত হয়েছেন।”
আগামী ১৬ জুলাই মেদিনীপুরে আসার কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের। সঙ্গে থাকতে পারেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও। এই বৈঠকটি পুরোদস্তুর সাংগঠনিক। ওই দিন মেদিনীপুরে দলের পাঁচ সাংগঠনিক জেলাকে নিয়ে বৈঠক হবে। ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুর- এই পাঁচ সাংগঠনিক জেলার নেতা- কর্মীরা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। মূলত, দলের ‘মহাসম্পর্ক অভিযান’ নিয়ে আলোচনা হবে। সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর জন্য মিস্ড কল মারফত্ দলের সদস্য সংগ্রহের অভিযান করেছিল বিজেপি। অবশ্য এ ভাবে যাঁদের নাম বিজেপির খাতায় ওঠে তাঁরা আদৌ সংগঠনের কোনও কাজে আসছেন কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। প্রশ্ন ওঠে। বিজেপি নেতৃত্ব চাইছেন, সদস্যদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিষয়টি যাচাই করে নিতে। বস্তুত, বিজেপির জেলা নেতৃত্ব চেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বৈঠক শহরের জেলা পরিষদের সভাঘর অর্থাত্ প্রদ্যোত্ স্মৃতি সদনে করতে। সেই মতো জেলা পরিষদের সভাঘর চেয়ে আবেদনও করা হয়েছিল। অবশ্য পত্রপাঠ সেই আবেদন খারিজ করে দেন তৃণমূল পরিচালিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। শহরে চাপানউতোর শুরু হয়। বিজেপি অভিযোগ করে, তৃণমূল সঙ্কীর্ণ রাজনীতি করছে। ইচ্ছে করেই তাদের সভাঘর ভাড়ায় দেওয়া হয়নি। দাবি উড়িয়ে জেলা পরিষদের তৃণমূল দলনেতা অজিত মাইতি পাল্টা জানিয়ে দেন, “ইচ্ছে করে দেওয়া হয়নি তেমন নয়। ওই দিন জেলা পরিষদের সভাঘরে একটা সরকারি বৈঠক রয়েছে। তাই ভাড়ায় দেওয়া যায়নি।”
জেলা পরিষদ খালি হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার পর বৈঠকস্থলের খোঁজ করতে আলোচনা শুরু করেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। পাঁচ সাংগঠনিক জেলার অন্তত ৩০০ জন নেতা- কর্মী ওই বৈঠকে থাকবেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। এই প্রথম নয়, গত মে মাসেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সভার জন্য সভাঘর দেয়নি জেলা পরিষদ। মোদী সরকারের বর্ষপূর্তি পালন উপলক্ষে পরে শহরের বিদ্যাসাগর হলে ওই সভা করতে হয় বিজেপিকে। একটা সময় বিশৃঙ্খলাও তৈরি হয়েছিল। কারণ, সেই দিন অনেকে জায়গার অভাবে স্মৃতি ইরানির সভাস্থলে ঢুকতে পারেননি। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে শেষমেশ শহরের স্পোটর্স কমপ্লেক্সে নির্মলা সীতারামনের বৈঠকটি করার সিদ্ধান্ত নেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। বিজেপির জেলা সভাপতি তুষারবাবু বলেন, “বৈঠকস্থল চূড়ান্ত হয়েছে। সাংগঠনিক এই বৈঠকের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে।”