সরঞ্জাম: বর্জ্য ফেলতে বাড়ি বাড়ি দেওয়া হবে এমনই রঙিন পাত্র। নিজস্ব চিত্র
এবার বাঁশির শব্দে ঘুম ভাঙবে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা রোডের বাসিন্দাদের।
এলাকাকে নির্মল রাখতে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প চালু করল গড়বেতা-৩ ব্লকের সাতবাঁকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। সোমবার প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ।
পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, এতদিন বাড়ির আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট ব্যবস্থা ছিল না। যার ফলে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছিল। এ বার প্রতিটি বাড়িতে ২টি করে বালতি দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। এর একটিতে পচনশীল ও অন্যটিতে পচনশীল নয় এমন বর্জ্য ফেলবেন গৃহস্থ। প্রতিদিন ভোরে সাফাই কর্মীরা এলাকায় পৌঁছে বাঁশি বাজালে গৃহস্থ ওই দু’ধরনের বর্জ্য সাফাই কর্মীদের গাড়িতে ফেলে দেবেন। সাতবাঁকুড়া পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ ঘোষ বলেন, “সাফাই কর্মীরা বাড়ি বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রেহ পর তা ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জমা করা হবে। পরে পচনশীল এবং পচনশীল নয় এমন বর্জ্য আলাদা করা হবে। পচনশীল বর্জ্য থেকে নির্দিষ্ট যন্ত্রের মাধ্যমে তৈরি হবে জৈব সার।এর ফলে এলাকার দূষণও কমবে। সাফ হবে জঞ্জালও।”
বিডিও শুভঙ্কর বিশ্বাস বলেন, “পুর-শহরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করেন সাফাই কর্মীরা। এবার পঞ্চায়েত এলাকাতেও তা চালু হল। ধীরে ধীরে ব্লকের অন্য পঞ্চায়েতগুলিতেও এই ব্যবস্থা চালু করা হবে।” মেদিনীপুর সদর মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলার একাধিক ব্লকে এই প্রকল্পে ভাল সাড়াও পড়েছে। এলাকার পরিবেশ রক্ষায় এমন ব্যবস্থায় খুশি চন্দ্রকোনা রোডের বাসিন্দারাও
ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, সাতবাঁকুড়ার আড়াবাড়ি গ্রামে প্রায় দেড় একর সরকারি খাস জমিতে আইএসজিপি প্রকল্প ও স্বচ্ছ ভারত মিশনের আর্থিক সাহায্যে প্রায় ২৩ লক্ষ টাকায় প্রকল্পটি তৈরি হয়েছে। দিলীপবাবু জানান, পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে প্রাথমিক ভাবে বিলা, দ্বারিগেড়িয়া, দুলর্ভগঞ্জ, সাতবাঁকুড়া, অপর্ণা পল্লি সহ আটটি সংসদ এলাকার বাসিন্দারা প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। মাস খানেক বাদেই পুরো পঞ্চায়েতেই প্রকল্পটি চালু হয়ে যাবে।