জেলাশাসকের দফতরের জন্য হচ্ছে নতুন ভবন। মেদিনীপুর কালেক্টরেটে বর্তমান কার্যালয়ের পিছনে নতুন ভবন তৈরির প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই ভবনে বসবেন জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসকেরা। বিভিন্ন দফতরকেও কালেক্টরেট চত্বরে নিয়ে আসা হবে।
নতুন ভবনে ভিত হচ্ছে চারতলার। যদিও প্রথমে ভবনটি একতলা হবে। এ জন্য ৭ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৬ কোটি ১৩ লক্ষ টাকার দরপত্র গৃহীত হয়েছে। আগাছা সাফ করে জায়গাটি ঘিরেও ফেলা হয়েছে। কাজ করবে পূর্ত দফতর।
ব্রিটিশ আমলে ১৯১২ সালে এখানে প্রশাসনিক ভবন তৈরি হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শতবর্ষ প্রাচীন ভবনটি এখন থাকবে। নতুন ভবন তৈরির পর সেখানে জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসকেরা চলে গেলে পুরনো ভবনে অন্যান্য অফিস স্থানান্তর করা হবে। শতাব্দী প্রাচীন বাড়িটিতে আধুনিক মানের পরিকাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তাই জেলাশাসকের জন্য নতুন ভবন তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “নতুন ভবনটি তৈরি হলে সেখানে জেলাশাসকের অফিস হবে। অন্যান্য অফিসগুলিও কালেক্টরেট চত্বরে নিয়ে আসা হবে।”
বর্তমানে জেলা ও মেদিনীপুর মহকুমা খাদ্য দফতর, পরিসংখ্যান ও গণনা বিভাগের অফিস চলছিল বেসরকারি ভাড়া বাড়িতে। জেলা পরিষদ চত্বরে ভাড়া বাড়িতে চলছিল সর্বশিক্ষা মিশনের অফিস। সংখ্যালঘু ভবন তৈরির পর এই বিভাগগুলি কালেক্টরেট চত্বরে নিয়ে আসা হয়। তারই সঙ্গে আরও একটি নতুন ভবন তৈরি করা হয়েছে। সেখানেও আনা হয়েছে কয়েকটি দফতরকে। যদিও এখনও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর, গ্রামোন্নয়ন দফতর, তফসিলি জাতি ও উপজাতি বিত্ত নিগম-সহ কয়েকটি দফতর জেলা পরিষদ চত্বরেই রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় দফতরগুলি ছড়িয়ে থাকায় কাজের ক্ষেত্রে নানা সমস্যা হয়। বিভিন্ন কাজে জেলাশাসকের স্বাক্ষর বা অনুমতি নেওয়ার জন্য দফতরের আধিকারিকদের বারবার কালেক্টরেটে যাতায়াত করতে হয়। আবার অনেক দফতরের অফিস দূরে হওয়ায় জেলাশাসকের পক্ষেও নজরদারি চালাতে অসুবিধা হয়।
নতুন ভবন হলে এই সমস্যা মিটবে বলেই আশা।