পাশাপাশি: নন্দকুমার মিশ্রর পাশে সুমনা মহাপাত্র। নিজস্ব চিত্র
পাঁশকুড়া পুরসভার নতুন পুরপ্রধান নির্বাচিত হলেন নন্দকুমার মিশ্র। শুক্রবার ভারপ্রাপ্ত পুরপ্রধান শহিদুল ইসলাম খানের ডাকা পুরবোর্ডের সভায় ১১ জন কাউন্সিলর নতুন পুরপ্রধান হিসেবে নন্দবাবুকে নির্বাচিত করেন।
এ দিন সকাল ১১ টা নাগাদ পুরসভা অফিসে বৈঠক হয়। নিরাপত্তার কারণে মোটায়েন ছিল পুলিশ বাহিনী। সভায় হাজির ছিলেন নন্দকুমার মিশ্র, শহিদুল ইসলাম খান, সুমনা মহাপাত্র-সহ ১১ জন কাউন্সিলর। ছিলেন না আনিসুর রহমান ও অন্য পাঁচ তৃণমূল কাউন্সিলর। অনুপস্থিত ছিলেন একমাত্র বিজেপি কাউন্সিলর সিন্টু সেনাপতিও।
একমাত্র নন্দবাবুর নামই প্রস্তাব করা হয় বৈঠকে। প্রস্তাব করেন সুমনা মহাপাত্র। ফলে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুরপ্রধান নির্বাচিত হন তিনি। তারপরই তাঁকে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন ভারপ্রাপ্ত পুরপ্রধান শহিদুল ইসলাম খান। মহকুমাশাসক শুভ্রজ্যোতি ঘোষের সামনে শপথ বাক্য পাঠও করেন নবনির্বাচিত পুরপ্রধান।
তবে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের নির্দেশে তাঁকে অপসারণ করার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আনিসুর রহমান ও তাঁর অনুগামীরা। এ দিন নন্দকুমার মিশ্রের পুরপ্রধান নির্বাচনকে নিয়ম বিরুদ্ধ বলে দাবি করেন আনিসুর। তিনি বলেন, ‘‘আমি গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত পুরপ্রধান। তা সত্ত্বেও দলের নির্দেশে প্রশাসনের কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার আগেই পুর দফতর যে ভাবে আমাকে অপসারণ করেছে তা নিয়ম বিরুদ্ধ। বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।’’
নন্দকুমারবাবুর অভিযোগ নিয়ে আনিসুর বলেন,‘’ গত কয়েকমাস ধরে পাঁশকুড়ায় বহিরাগতদের নিয়ে এসে কারা ভয়ভীতির পরিবেশ তৈরি করেছে তা মানুষ জানে । আর নন্দকুমারবাবু একসময় অহিংসার রাজনীতির করতেন কিন্তু পদের লোভে সে পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। এমনকি আমার অফিসে আক্রমণ করেছিল তাঁর অনুগামীরা। আমারই বরং প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে ‘’।
এ দিন পুরসভা চত্বরেই সংবর্ধনা দেওয়া হয় নন্দকুমার মিশ্রকে। ওই একই মঞ্চে সংবর্ধনা দেওয়া হয় সদ্য নিযুক্ত তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি ও ময়নার বিধায়ক সংগ্রাম দোলাইকে। উপস্থিত ছিলেন পাঁশকুড়ার বিধায়ক ফিরোজা বিবি, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল, সহ-সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান, তমলুকের পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন প্রমুখ।
সভায় নন্দবাবু বলেন, ‘‘পুরপ্রধান হিসেবে আমার প্রথম কাজ হবে পাঁশকুড়ার মানুষের মধ্যে থেকে ভীতি দূর করে শান্তি ফেরানো। তৃণমূল স্তরে উন্নয়নের কাজকে ত্বরান্বিত করা।’’