Jagannath Temple Digha

সৈকত শহরে পুণ্যার্থীদের গাড়ি রাখার জায়গা খুঁজছে ড্রোন

নিউ দিঘার ভোগী ব্রহ্মপুর মৌজায় তৈরি হচ্ছে পুরীর আদলে জগন্নাথ মন্দির। ২০ একরের বেশি জমিতে ওই মন্দির তৈরি করছে হিডকো।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দিঘা শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৪ ০৮:০২
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

পুজোর পরেই জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হওয়ার কথা দিঘায়। পর্যটকদের পাশাপাশি কয়েক গুণ পুণ্যার্থীর ভিড় বাড়বে সৈকত নগরীতে। তাই পর্যটকদের বাস এবং গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য রাজ্য সরকারের নির্দেশে বিকল্প জমির খোঁজ শুরু হল দিঘায়। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ড্রোনের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গা অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এই কাজে ডিএসডিএ-র কর্মীদেরও নিয়োগ করা হয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, নিউ দিঘার ভোগী ব্রহ্মপুর মৌজায় তৈরি হচ্ছে পুরীর আদলে জগন্নাথ মন্দির। ২০ একরের বেশি জমিতে ওই মন্দির তৈরি করছে হিডকো। মূল মন্দিরের পাশাপাশি ভোগ ঘর, নাট মন্দির, গর্ভগৃহ নির্মাণের কাজ চলছে জোর কদমে। এবছর এপ্রিলে উদ্বোধন করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও দিন কয়েক আগে কলকাতায় রথের এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন," কিছু কাজ বাকি। পুজোর পর জগন্নাথ ধামের উদ্বোধন হবে।" আগামী বছর থেকে রথের চাকা গড়বে বলে নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছিলেন মমতা।

ডিএসডিএ-র তরফে জানানো হচ্ছে, ডিসেম্বর থেকে পর্যটনের ভরা মরশুমে প্রচুর ভিড় হয় সৈকত শহরে। পুজোর ছুটি কিংবা সপ্তাহ শেষের শেষের শনি ও রবিবারের ছুটিতে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। তার উপর মন্দির খুলে গেলে কয়েক লক্ষ পুণ্যার্থী সমাগম ঘটবে সৈকত নগরীতে। সে কথা মাথায় রেখে চলতি সপ্তাহে জেলা প্রশাসন এবং ডিএসডিএ কর্তৃপক্ষকে একগুচ্ছ নির্দেশ পাঠানো হয়েছে নবান্নের তরফে। বলা হয়েছে, পুণ্যার্থীদের গাড়ি পার্কিংয়ের বন্দোবস্ত করতে হবে। রাস্তা সম্প্রসারণ করতে হবে।

Advertisement

পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক তথা দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পূর্ণেন্দু মাঝি বলেন,"দিঘা শহর জুড়ে বিভিন্ন রকমের জমি অনুসন্ধান চলছে। কোথাও বাস, কোথাও ট্রাক, গাড়ি, সাইকেল, কোথাও মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের ব্যবস্থা হবে।" গত সপ্তাহে নিউ দিঘা থেকে ওল্ড দিঘা জগন্নাথ মহাপ্রভুর মাসির বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারণে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রশাসন। তার জন্য ৫০০-র বেশি গাছে হলুদ রঙের পোঁচ পড়েছিল। গাছের গায়ে দেওয়া হয়েছিল নম্বর। তা নিয়ে প্রবল বিতর্ক তৈরি হতে পিছু হটেছে ডিএসডিএ। ঠিক হয়েছে, প্রায় ১৪ মিটার জুড়ে রাস্তা সম্প্রসারণ করা হবে। রাস্তার পাশে যেখানে গাছ রয়েছে সেখানে ফুটপাথ বানানো হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement