Hawkers Eviction Drive

জমাটি ভিড়েই সৈকতে উচ্ছেদ অভিযান

জগন্নাথ মন্দির তৈরির প্রশাসনিক তৎপরতার সঙ্গে দিঘাকে হকার মুক্ত করার জন্য পুরোদমে সক্রিয় ডিএসডিএ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দিঘা শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪ ০৮:২৩
Share:

হকারদের বাজেয়াপ্ত জিনিস ট্রেলারে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র।

জগন্নাথ ধামের প্রয়োজনে সৈকত শহরে বেআইনি দখল হঠাতে আগেই উদ্যোগী হয়েছিল প্রশাসন। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেআইনি দখল হঠানোর ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছে। এর পরে ওল্ড দিঘায় পুরনো জগন্নাথ মন্দির এলাকায় সবকটি অস্থায়ী দোকান সরিয়ে দিতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। এই পুরনো মন্দিরকে জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ওই এলাকার পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি, দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ (ডিএসডিএ) ১১৬ বি জাতীয় সড়কের সঙ্গে সংযোগকারী সৈকতে যাওয়ার রাস্তা সম্প্রসারণের কাজও শুরু হয়েছে। এলাকা যাতে দখল না হয়ে যায়, তার জন্য এলাকায় কাঁটা তারের বেড়া পড়েছে।

Advertisement

জগন্নাথ মন্দির তৈরির প্রশাসনিক তৎপরতার সঙ্গে দিঘাকে হকার মুক্ত করার জন্য পুরোদমে সক্রিয় ডিএসডিএ। গত শুক্রবার পর্ষদের তরফে মাইকে করে জানানো হয়, তাদের জমিতে বেআইনিভাবে যেসব দোকান গজিয়ে উঠেছিল, সেগুলো সরিয়ে নিতে হবে। রবিবার বিকেল পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেয় প্রশাসন। সেই সময় সীমা পেরোনোর আগে জগন্নাথ ঘাটের কাছে অনেকে দোকান সরিয়ে নিয়েছেন। এর পরেও চলতি সপ্তাহে হকার উচ্ছেদ অভিযানে নামেছে ডিএসডিএ। শনিবার বিকেলে নিউ দিঘার সৈকতে অভিযান চালায় তারা। সৈকতের ধারে যেসব দোকান বসে ছিল, তাদের জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক তথা পর্ষদের চেয়ারম্যান পূর্ণেন্দু মাঝি বলছেন, ‘‘ওল্ড এবং নিউ দিঘা জুড়ে অবৈধ দোকানদারদেরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিরাও দ্রুত সরে যাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।’’ এদিকে, সপ্তাহান্তে পর্যটকদের প্রচুর ভিড় রয়েছে। তার মধ্যে যদি উচ্ছেদ অভিযান চলায় ব্যবসাটাই মার খেয়েছে বলে দাবি হকারদের।

প্রশাসন সূত্রের খবর, নিউ দিঘার ভোগী ব্রহ্মপুরের মূল জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ কাজ এখনও কিছুটা বাকি। সেখান থেকে মাসির বাড়ি পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা চার লেনের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বছর জানুয়ারিতে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান।
মূল মন্দির থেকে পুরনো জগন্নাথ মন্দির যেখানে মাসির বাড়ি করা হচ্ছে, সেই পর্যন্ত ৭ মিটার চওড়া রাস্তা রয়েছে। যা ১৪ মিটারের করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বছর রথযাত্রা ৭ জুলাই। তার আগেই চার লেনের এই রাস্তার কাজ সেরে ফেলবে রাজ্য পূর্ত দফতর। নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার কারণে কারণে কাজ কিছুটা ধাক্কা খেলেও এখন জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ির উন্নয়ন এবং রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ তাই জোর কদমে চলছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement