পার্কের কাজ ঘুরে দেখছেন জেলাশাসক। —নিজস্ব চিত্র।
পর্যটকদের ঘোরাঘুরির সুবিধার্থে সৈকতের হকারদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ (ডিএসডিএ)। এর মধ্যেই পুজোর আগে পর্যটকদের জন্য সৈকত সুন্দরী দিঘাকে আরও সাজিয়ে তোলার ব্যাপারে উদ্যোগী তারা। ওল্ড দিঘার মতই নিউ দিঘায় এবার সৌন্দর্যায়নের উদ্যোগী ডিএসডিএ। গড়ে তোলা হচ্ছে বিশাল আকারের পার্ক। পুজোর মরসুম শুরু হওয়ার আগে সেই পার্ক নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে কোমর বেঁধে নেমেছেন ডিএসডিএ কর্তৃপক্ষ।
মাস ঘুরলেই কাঠি পড়বে পুজোর ঢাকে। আর পুজোর ছুটিতে ভ্রমণপিপাসু বাঙালি ভিড় করবেন দিঘায়। তাঁদের কথা ভেবে নিউ দিঘায় পুলিশ হলিডে হোম স্নান ঘাটের কাছে একটি বড় আকারের পার্ক বাননো হচ্ছে। সেটি দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ডিপো পর্যন্ত এলাকা জুড়ে বানানো হচ্ছে। আর ৫০০ মিটার দীর্ঘ এই পার্ক তৈরির জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে 'ফরেস্ট ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন' নামে একটি সংস্থাকে। ওই কাজে সাড়ে ছ’কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ করেছে পর্ষদ। বৃহস্পতিবার নির্মীয়মান ওই পার্ক ঘুরে দেখেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি-সহ জেলা প্রশাসন এবং ডিএসডিএ-র আধিকারিকেরা। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের কার্যনির্বাহী আধিকারিক মানস কুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘ওল্ড দিঘার মতই নিউ দিঘাতেও পর্যটকদের জন্য নতুন পার্ক তৈরি করা হচ্ছে। নির্মাণকারী সংস্থাকে পুজোর আগেই কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।’’
২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পরেই দিঘার সৌন্দর্যায়নে গুরুত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ সালে ইয়াস ঝড়ের সময় ব্যাপক জলোচ্ছ্বাসে তছনছ হয়ে গিয়েছিল দিঘা। তার পরে ফের নতুন করে সৈকত শহরকে সাজানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন এবং ডিএসডিএ সূত্রের খবর, দুর্গাপুজোর আগে নতুন এই পার্কটি নির্মাণের কাজ শেষ করা হবে। আর সে সময় পূর্ব মেদিনীপুরে প্রশাসনিক সফরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার হাতেই নতুন এই পার্কটির উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘প্রশাসনের পুরো দল নিয়ে আমরা দিঘা গিয়েছিলাম। ওল্ড দিঘাতে একটি পার্ক পর্যটকদের মন কেড়েছে। একই রকম ভাবে নিউ দিঘায় তাই পার্ক তৈরি করা হচ্ছে। সেই কাজের অগ্রগতি দেখে ভীষণ খুশি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে পুজোর আগে সেই পার্ক উদ্বোধন করার চিন্তাভাবনা রয়েছে।’’
সৈকত শহরে আরও একটি নতুন পার্ক হলে পুজোয় পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে বলে আশাবাদী নিউ দিঘার হোটেল মালিক এবং পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। নিউ দিঘা হোটেল মালিক সংগঠনের সভাপতি সুশান্ত পাত্র বলছেন, ‘‘নিউ দিঘায় শুধুমাত্র ঢেউসাগর পার্ক ছিল। এবার আরও একটি পার্ক নির্মাণ হলে পর্যটকদের সংখ্যা আগের তুলনায় বাড়বে।’’