দিঘার সমুদ্রে স্নান করতে নেমে তলিয়ে মৃত্যু হল কলকাতার নীলরতন সরকার (এনআরএস) মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সুজয় দে। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার বিকেলে। রাতেই শুরু হয় খোঁজ। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ওল্ড দিঘার ২ নম্বর ঘাট থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ।
সুজয়ের বাড়ি দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার এলাকায়। বৃহস্পতিবারই বন্ধুদের সঙ্গে দিঘায় এসেছিলেন তিনি। দুই তরুণ ও দুই তরুণীর দলটিতে সকলেই এনআরএসের পড়ুয়া। সুজয়রা সমুদ্র স্নানে নেমেছিলেন বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ। তখনই তলিয়ে যান সুজয় ও তাঁর এক বন্ধু বীরেন্দ্র কুমার। পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা দুই বান্ধবীর চিৎকারে নুলিয়ারা এসে বীরেন্দ্রকে কোনওমতে উদ্ধার করেন। তাঁকে পাঠানো হয় দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। কিন্তু সুজয়ের আর খোঁজ মেলেনি। দিঘা ও কোস্টাল থানার পুলিশ রাতভর তল্লাশি চালায়। রাত ১০টা নাগাদ কোস্টাল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন দুই বান্ধবী।
সুজয়ের বাবা বিপ্লবকুমার দে দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টের কর্মী। মা মিতালিদেবী ডিপিএল গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষিকা। শুক্রবার দুপুরে সিটি সেন্টার এলাকায় ঊর্বশী-২ হাউসিং কমপ্লেক্সে আরসি ১৭ নম্বর বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, গত কয়েকদিন বাড়িতে ছিলেন না বিপ্লববাবু ও সুজয়ের দাদা স্বরাজ। খবর পেয়ে দিল্লি থেকে ফিরছেন তাঁরা। আপাতত প্রতিবেশীরাই দিঘা রওনা দিয়েছেন। সুজয়ের মা মিতালীদেবী কোনও কথা বলতে চাননি। প্রতিবেশী শ্রীলা চক্রবর্তী, মালা বসু’রা জানান, বরাবর মেধাবী সুজয় সিটি সেন্টারের একটি বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পান সুজয়।