পরিবেশন করা হচ্ছে মাংস। নিজস্ব চিত্র
মিড ডে মিলের পাতে মাংসের ঝোল। খেয়ে বেজায় খুশি অর্ঘ্য দে, তাতান চক্রবর্তীরা। নবম শ্রেণির অর্ঘ্য, অষ্টম শ্রেণির তাতানদের কথায়, ‘‘আজ স্কুলে মিড ডে মিলটা খুব ভাল হয়েছিল।’’
ছবিটা পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের গোটগেড়্যা শিবশক্তি হাইস্কুলের। মঙ্গলবার এই স্কুলে মিড ডে মিলে ছিল মুরগির মাংসের ঝোল, বাঁধাকপির তরকারি, ভাত। শেষপাতে চাটনি। কেশপুরের এই স্কুলে মিড ডে মিল দেখার জন্য উপ- সমিতি রয়েছে। উপ- সমিতি ঠিক করেছে, বছরে অন্তত আট দিন স্কুলের মিড ডে মিলে মাংস খাওয়ানো হবে। ওই উপ-সমিতির আহ্বায়ক তথা স্কুলের সহ- শিক্ষক অজয় মাইতি বলছিলেন, ‘‘এ দিন মেনুতে মাংস ছিল। ছেলেমেয়েরা তৃপ্তি করে খেয়েছে।’’
সাধারণত, স্কুলগুলিতে মিড ডে মিলের মেনু একঘেয়ে হয়। ডিম- ভাতের বেশি কিছু পড়ুয়াদের খাওয়াতে পারে না বেশিরভাগ স্কুল। কেশপুরের এই স্কুল- কর্তৃপক্ষের দাবি, স্কুলে খাদ্য তালিকায় বৈচিত্র্য রয়েছে। ফলে ছাত্রছাত্রীদের হাজিরা বেড়েছে। এদিন স্কুলের মিড ডে মিলের পাতে মাংস পড়েছে শুনে কেশপুরের বিডিও দীপক ঘোষ বলেন, ‘‘স্কুলের এই উদ্যোগ শুধু অভিনব নয়, প্রশংসনীয়ও বটে।’’