ক্ষতিগ্রস্ত: ভিজে বালির লরি যাতায়াতে বেহাল রামগড়ের মুড়ার যাওয়ার রাস্তা। নিজস্ব চিত্র
ভিজে বালি বোঝাই ভারী লরি চলাচল করায় রাস্তার দফারফা! খন্দপথের ঝক্কি এড়াতে অনেক আগেই রুটের সব ক’টি বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনে অজস্রবার দরবার করেও লালগড় ব্লকের রামগড় অঞ্চলের মুড়ার যাওয়ার রাস্তাটির হাল ফেরেনি। একাধিকবার পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এলাকাবাসী। তাতেও বন্ধ করা যায়নি বালি গাড়ির বেপরোয়া যাতায়াত।
প্রতিকার পেতে শনিবার রাত ৮টা নাগাদ বালি বোঝাই লরিগুলি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রামগড় ফাঁড়ি ও লালগড় থানার পুলিশ। লালগড়ের বিডিও জ্যোতিন্দ্রনাথ বৈরাগী টেলিফোনে বাসিন্দাদের আশ্বাস দেন, ওই রাস্তায় বালি বোঝাই লরির যাতায়াত বন্ধ করা হবে। তারপর গভীর রাতে অবরোধ তুলে নেন বাসিন্দারা।
বিডিও আশ্বাস দেওয়ার পরেও অবশ্য রবিবার ওই রাস্তায় বালি বোঝাই লরি যাতায়াত করছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। বেহাল রাস্তাটিতে এ ভাবে যথেচ্ছ লরি চলাচলের ফলে লালগড় থানার মুড়ার, গোপীনাথপুর, লোধাশোল, ভেপুয়া, কেলিয়াশোল গ্রামের প্রায় হাজার পাঁচেক বাসিন্দার খুব সমস্যা হচ্ছে।
রামগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এই খাসজঙ্গল সিদো-কানহো মোড় থেকে মুড়ার হয়ে বাঁকুড়া সীমানা পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার লম্বা রাস্তাটির দীর্ঘদিন সংস্কার হচ্ছে না। প্রতিদিন বাঁকুড়ার ব্রাহ্মণডিহা এলাকায় কংসাবতী নদী থেকে বালি তোলার পরে আড়াইশো-তিনশো বালি বোঝাই ভারী লরি এই রাস্তায় যাতায়াত করে। ফলে রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে আগে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মেদিনীপুর, গোপীবল্লভপুর, ঝাড়গ্রাম ও হাওড়া রুটের ৮ জোড়া বেসরকারি বাস ও একটি সরকারি বাস প্রতিদিন যাতায়াত করত। এখন বেহাল রাস্তার জন্য বাসগুলি ওই রুটে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে, চরম সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা। অভিযোগ, প্রভাবশালী মহলের প্রচ্ছন্ন মদতে লরিগুলি বহন ক্ষমতায় চেয়ে অনেক বেশি বালি পরিবহন করছে। ভিজে বালির জল চুঁইয়ে রাস্তা নষ্ট হচ্ছে।
লালগড়ের বিডিও জ্যোতিন্দ্রনাথ বৈরাগী বলেন, “রাস্তাটি সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত ওই রাস্তায় বালি-লরির যাতায়াত বন্ধ করার জন্য রামগড় গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ফের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।”