কেশিয়াড়ির কলাবনিতে অমিত শাহ। ছবি: দেবরাজ ঘোষ
জয় শ্রীরামেই ‘জোশ’। জয় শ্রীরামেই হোঁচট।
দিন কয়েকেই হিট জয় শ্রীরাম স্লোগান। শনিবার চন্দ্রকোনা শহরে আসার আগে রাধাবল্লভপুরে মমতার কনভয়ের সামনে ‘জয় শ্রী রাম ধ্বনি’ তুলেন কয়েকজন যুবক। তা শুনেই মমতার কনভয় থেমে যায়। গাড়ি থেকে নেমে মমতা বলেন, “এই পালাচ্ছিস কেন। সামনে আয়।” ওই ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয়। ওই ঘটনার পর থেকে জয় শ্রী রাম স্লোগানের হিড়িক দেখা দিয়েছে। সোমবার ঝাড়গ্রাম ও হলদিয়ায় এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রশ্ন তুলেছিলেন জয় শ্রীরাম বলা কি অপরাধ! মঙ্গলবার ঘাটালের বিদ্যাসাগর হাইস্কুল মাঠে এক ধাপ এগিয়ে চ্যালঞ্জের সুরে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বললেন, ‘‘মমতাদি আমি মঞ্চ থেকে জয় শ্রীরাম বলছি। যত দফা পারেন লাগিয়ে দিন।’’
এ দিন ঘাটালের সভা জুড়ে ছিল জয় শ্রীরাম। সভার শুরুতেই অমিত তোলেন এই প্রসঙ্গ। সূত্র ধরিয়ে দেন বিজেপি সভাপতি। সমস্বরে ওঠে জয় শ্রীরাম স্লোগান। এরপর অমিতের প্রশ্ন, ‘‘মমতাদি বলুন, শ্রী রামের নাম যদি ভারতে না নেওয়া হয় তবে কি পাকিস্তানে নেওয়া হবে?” নেতারা বলছেন। স্বাভাবিকভাবে কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ আরও বেশি। অমিতের সভার মাঝে মাঝেই উঠেছে জয় শ্রীরাম স্লোগান। শ্রীরাম থেকে প্রসঙ্গান্তরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন অমিত। বলছিলেন, ‘‘আমি গোটা দেশ ঘুরে এখানে এসেছি। সব রাজ্যে ভাষা, খাওয়া, পোশাক পরিচ্ছদ সবই আলাদা। কিন্তু একটা নাম সব জায়গাতেই থাকে।’’ তাঁর কথা শেষ হয়নি তখনও। শুরু হয়ে যায় জয় শ্রী রাম স্লোগান। ফের শুরু করে বিজেপি সভাপতি বলতে থাকেন, ‘‘একটা নাম সব জায়গাতেই থাকে। তা হল মোদী মোদী নাম।” এরপর কর্মীস সমর্থকেরা শুরু করেন, ‘‘মোদী, মোদী।’’ স্লোগান।
এই মোদী স্লোগান কেন এ দিন তাঁর ব্যাখ্যা দিয়েছেন অমিত। তাঁর কথায়, ‘‘মোদী নাম কোনও ভোটের উদ্দেশ্যে নয়। নেতার প্রশংসার উদ্দেশ্যে নয়। দেশের কোটি কোটি মানুষের মোদীজির উপর আশীবার্দ।’’এরপর একাধিকবার জয় শ্রীরাম স্লোগানের তোড়ে বক্তৃতা থামাতে হয়েছে অমিতকে।
জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতির কটাক্ষ, “জয় শ্রী রাম অমিত শাহের পৈতৃক সম্পত্তি নয়। বিজেপি রামের নাম বদনাম করতে উঠেপড়ে লেগেছে। তৃণমূল রামকে হৃদয়ে রাখে। ভক্তি করে। তাই বিজেপির মুখে এমন কথা মানায় না।”