প্রতীকী চিত্র।
অভাবের সংসারে বাবার দিনরাত পরিশ্রমে কোনও রকমে খাবার জুটতো দুবেলা। পেটে জ্বালায় পড়াশোনার খিদে চাপা পড়ে য়ায়। একবার পাড়ারই এক দাদার হাত ধরে প্রাথমিক স্কুলে গিয়ে স্বরবর্ণের কিছু অক্ষর শিখেছিলাম। ব্যস ওই পর্যন্তই। এখন নিজের নামটা লিখতে পারি।
পটাশপুরের অমর্ষিতে গরিবের কুঁড়েঘরে জন্মে অভাব আর কষ্ট ছোটবেলা থেকেই খুব টের পেয়েছি। দাদু এবং বাবাকে চামড়ার কাজ করতে দেখে অতটুক বয়স থেকেই বুঝেছিলাম এটাই আমাদের পেশা। এখান থেকে ভাত-কাপড়ের জোগাড় করতে হবে। পড়াশোনার ইচ্ছা থাকলেও তাই উপায় ছিল না। গ্রামের অনেকের জন্য মোটরের টায়ারের জুতো বানানোর জন্য দু’একটা অর্ডার আসত। মোটরের টায়ারের জুতো বানানোর জন্য বাড়িতে বাবার কাজে হাত লাগাতাম। সেই থেকে ধীরে ধীরে কাজ শিখে এখন সেই কাজ করেই সংসার চালাতে হয়। আগে বাড়িতে বসে জুতো বানাতাম। বাজারে বসলে একটু বেশি আয় হবে ভেবে এখন বাজারেও ছোট্ট গুমটিতে বসি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আগে গ্রামে কোনও পশু মারা গেলে তার চামড়া শুকিয়ে কারখানায় দিতাম। বাড়তি টাকা মিলত। এখন মৃত পশুর চামড়ার সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে বাড়তি উপার্জন বন্ধ। নিজে পড়াশোনা করতে পারিনি। তবে চাই ছেলেমেয়েরা পড়ুক। তাই দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করছি। রাজ্য সরকার আমাদের জন্য ভাবলে উপকার হত। চর্মশিল্পী হলেও সরকারি ভাতা আজও জোটেনি। অন্য অনেকে নানা যোজনায় ঘর পেলেও আজও কুঁড়ে ঘরেই পরিবার নিয়ে দিন কাটছে। গ্রাম পঞ্চায়েতে আবেদন জানিয়েও ফল পাইনি। ভোট এলে ভোট দেওয়ার জন্য পাড়ার সব রাজনৈতিক দলের নেতারা আসেন। কিন্তু আমাদের সমস্যার কথা শুনে তাঁদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছুই মেলে না। তবে আমাদের দাবি নিয়ে লড়াই চলবেই। আর তাই এ বারও ভোটের লাইনে দাঁড়াব।