general-election-2019-west-bengal

লাল-সবুজে নয়া সৌজন্য

তৃণমূল প্রার্থী বিরবাহাকে নিয়ে ঢুকবেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মুখোমুখি দেখা পার্থ-দেবলীনার। হল কুশল বিনিময়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:১২
Share:

মনোনয়ের ফাঁকে সিপিএম প্রার্থী দেবলীনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। নিজস্ব চিত্র।

প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেবেন। হাজির থাকবেন দলের মহাসচিব। মনোনয়নের আগে আদিবাসী প্রথায় পাঞ্চি শাড়ি পরে মিছিলে হাঁটতে দেখা গেল তৃণমূলের মহিলা জনপ্রতিনিধিদের।

Advertisement

স্ত্রী বিরবাহা সরেন মনোনয়ন জমা দেবেন। বৃহস্পতিবার সকালে স্ত্রীয়ের সঙ্গে এক গাড়িতেই এসেছিলেন স্বামী রবিন টুডু। মনোনয়ন পর্ব মেটার পর কালেক্টরেট চত্বরে দেখা গেল তাঁকে। প্রসঙ্গত, বুধবারই সামাজিক সংগঠনের পদ থেকে রবিনকে বহিষ্কারের কথা প্রকাশ্যে এসেছে।

সিপিএম প্রার্থী দেবলীনা হেমব্রমের মনোনয়ন জমা হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী বিরবাহাকে নিয়ে ঢুকবেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মুখোমুখি দেখা পার্থ-দেবলীনার। হল কুশল বিনিময়।

Advertisement

ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্র আদিবাসী অধুষ্যিত। আদিবাসী ভোট বিভাজনের অঙ্ক এই কেন্দ্রের ফল নির্ধারণ করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেই কেন্দ্রেরই মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে ঘিরে তৈরি হল এমনই কিছু টুকুরো মুহূর্ত।

কর্মীদের মনোবল বাড়াতে কি এসেছেন? পার্থ বললেন, ‘‘আমি তো সব সময় আসি। আমি দলের এই জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক।’’ রবিনকে সাসপেন্ড করার প্রসঙ্গে পার্থের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এটা বিহার, উত্তরপ্রদেশ নয়। মানুষ জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের জন্য কী করেছেন।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এ দিন দুপুরে ঝাড়গ্রাম শহরের হিন্দু মিশন মাঠ থেকে ঢাক বাজিয়ে মিছিল শুরু করে তৃণমূল। মিছিলে ছিলেন জেলা তৃণমূলের আহ্বায়ক উজ্জ্বল দত্ত সহ জেলা ও ৮ টি ব্লকের বিভিন্ন স্তরের নেতা-নেত্রী ও জনপ্রতিনিধিরা। ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শুভ্রা মাহাতোর মতো মহিলা জনপ্রতিনিধি ও নেত্রীরা আদিবাসী প্রথায় পাঞ্চি শাড়ি পরে মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। মিছিল পাঁচ মাথা মোড়ে শেষ হয়। বিরবাহা এবং নেতারা হেঁটে চলে আসেন জেলা কালেক্টরেটের কাছে। পৌনে দুটো নাগাদ মহাসচিব পৌঁছন। বিরবাহাকে নিয়ে নমিনেশন সেল-এ ঢোকেন পার্থ। তার কিছুক্ষণ আগে ঝাড়গ্রাম লোকসভার নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলাশাসক আয়েষা রানির অফিস চেম্বারে মনোনয়নপত্র জমা দিতে ঢোকেন দেবলীনা হেমব্রম ও অন্য নেতারা। বেরোনোর সময় পার্থের সঙ্গে দেখা হতে কুশল বিনিময় করেন দেবলীনা। বিরবাহার সঙ্গে থাকা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদার সঙ্গে অবশ্য সাঁওতালি ভাষায় কুশল বিনিময় করেন দেবলীনা। সুকুমারও সাঁওতালিতে জবাব দেন।

বিকেল তিনটে নাগাদ ফিরে যাওয়ার সময় পার্থের সঙ্গে দেখা হয় রবিনের। পার্থ জিজ্ঞাসা করেন কেন যাননি? রবিন জানান, মনোনয়নের সময় পাঁচজনের বেশি তো যাওয়া যায় না। পারগানা মহলের সাসপেনসনের চিঠি কি পেয়েছেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাব দেন বিরবাহা।

তিনি বলেন ‘‘এসব কথা এখানে বলার দরকার নেই। পরে ফোন করে জেনে নেবেন।’’

তৃণমূলের মিছিলের আগে সিপিএম প্রার্থী দেবলীনা হেমব্রমের সমর্থনে ঝাড়গ্রাম শহরে বামেদের মিছিল হয়। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন দেবলীনা। শহর পরিক্রমার সময়ে পুরো মিছিলে হাঁটেন সিপিএম প্রার্থী। বামেদের মিছিলটি ছিল সুশৃঙ্খল। আর লোক বেশি থাকলেও তৃণমূলের মিছিলটি অগোছালো ছিল। পুরো মিছিলে বিরবাহা হাঁটতেও পারেননি। প্রার্থী মাঝপথে মিছিলে হাঁটেন। সুকুমার বলেন, ‘‘মিছিলে এত লোক হয়ে গিয়েছিলেন, সেই কারণে আর লাইন করা যায়নি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement