টিভিতে চোখ শিশিরের।
প্রায় দুমাস ধরে পদযাত্রা, মিছিল, জনসভা ও বাড়ি ঘুরে ভোট-প্রচার পর্ব শেষ হয়েছে শুক্রবার সন্ধ্যায়। রবিবার ভোটগ্রহণ। তার আগের দিন শনিবার প্রচারের চাপ না থাকলেও পরীক্ষার হলে ঢোকার আগে শেষবারের মতো বইয়ে চোখ বুলিয়ে নিতে ব্যস্ত ছিলেন শাসক ও বিরোধীদলের প্রার্থীরা।
তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারী শনিবার স্থানীয় নেতা ও কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন। প্রার্থীর কথায়, ‘‘ভোটের দিনের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতেই সারাদিন কেটেছে। ভোট ভালই হবে। আমাদের জয় নিশ্চিত।’’
শাসকদলের প্রার্থী যখন কর্মীদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বৈঠক করছেন, বিরোধী বিজেপি প্রার্থী সিদ্ধার্থ নস্কর তখন কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে ধর্না-অনশনে বসেন নির্বিঘ্নে ভোট করাতে প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে। পরে নির্বাচন কমিশনের আশ্বাসে ধর্না তুলে নেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বামপ্রার্থী ইব্রাহিম আলি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বহিরাগত নিয়ে আসা ও দলের পোলিং এজেন্টদের শনিবার সকালেই পৌঁছে যান হলদিয়ায়। দলের নেতা- কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁদের সাহস জোগান।
কংগ্রেস প্রার্থী লক্ষ্মণ শেঠ অবশ্য শনিবারের রুটিন জানাতে নারাজ। একদা জেলার দোর্দণ্ডপ্রতাপ ও পোড় খাওয়া নেতা লক্ষ্মণের জবাব, ‘‘এটা একেবারেই টপ সিক্রেট।’’
ভোটের আগের দিন খোশ মেজাজেই কাটালেন কাঁথির তৃণমূল প্রার্থী শিশির অধিকারী। দিনভর মোবাইলে খোঁজ খবর নিলেন বিভিন্ন এলাকার। সময় কাটল টিভি দেখে। বিজেপি প্রার্থী দেবাশীষ সামন্ত এ দিন মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন।
ধর্নায় সিদ্ধার্থ।
সিপিআইএম প্রার্থী পরিতোষ পট্টনায়ক ব্যস্ত ছিলেন প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগে। কারণ, বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁর কাছে দলীয় কর্মীদের অভিযোগ আসছিল শাসকদলের লোকেরা ভয় দেখাচ্ছে। জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে গিয়ে ভোটের কাজকর্ম সারেন। কংগ্রেস প্রার্থী দীপক কুমার দাস দিনভর ব্যস্ত থাকলেন মোবাইলে দলের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগে।