উদ্ধার হওয়া নেকড়ে শাবক। নিজস্ব চিত্র
রাস্তার ধারে ঘুরে বেড়াচ্ছিল একটি নেকড়ে শাবক! জঙ্গল লাগোয়া ঝাড়গ্রাম শহরের বাঁদরভুলা এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে সে দৃশ্য দেখেন পাশের এক গাড়ি সার্ভিস সেন্টারের দুই কর্মী। ঠিকমতো হাঁটতেও পারছিল না শাবকটি। অমিত রায় ও সুদর্শন নন্দী নামে ওই দু’জনের তৎপরতায় এবং বলরামডিহির বাসিন্দা বন্যপ্রাণপ্রেমী শঙ্কর ঘোষের উদ্যোগে ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হয়েছে মাস দু’য়েকের ওই নেকড়ে শাবকের।
শহরের এক প্রান্তে রয়েছে ওই মোটর সংস্থার সার্ভিস সেন্টার। এ দিন সকালে দোকান খুলতে আসেন সংস্থার দুই কর্মী অমিত রায় ও সুদর্শন নন্দী। তাঁরাই প্রথম দেখেন, পুরুষ নেকড়ে শাবকটি ঠিকমতো হাঁটতে পারছে না। রাজ্য সড়ক দিয়ে তখন অনবরত যাতায়াত করছিল ভারী এরপর অমিতরাই ফোনে যোগাযোগ করেন শহরের বলরামডিহির বাসিন্দা বন্যপ্রাণপ্রেমী শঙ্কর ঘোষের সঙ্গে। শঙ্করবাবু শাবকটিকে দেখে জানিয়ে দেন, সেটি নেকড়ে। নেকড়ে শাবকটিকে চিড়িয়াখানায় জমা দিতে চান অমিত-সুমন। এ দিন শাবকটিকে নিয়ে এসে চিড়িয়াখানা সুপার জনার্জন ঘোষের কাছে জমা দেন তাঁরা। খবর পয়ে শাবকটিকে পরীক্ষা করতে আসেন প্রাণিচিকিৎসক চঞ্চল দত্ত ও সুলতা মণ্ডল। তাঁরা শাবকটিকে পরীক্ষা করে জানিয়ে দেন, সেটি পুরুষ নেকড়ে শাবক। বয়স মাস দু’য়েক। প্রাণী চিকিৎসক চঞ্চলবাবু বলছেন, ঝাড়গ্রামের জঙ্গলে প্রচুর সংখ্যায় ইন্ডিয়ান উলফ রয়েছে। নেকড়ে শাবকটি কোনও ভাবে মায়ের সঙ্গছাড়া হয়ে লোকালয়ে চলে এসেছিল।
ডিএফও বাসবরাজ হোলে ইচ্চি বলেন, ‘‘ওই দুই যুবক শাবকটিকে উদ্ধার করে চিড়িয়াখানায় পৌঁছে দিয়ে নৈতিক কর্তব্য পালন করেছেন। শাবকটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বড় হলে চিড়িয়াখানার এনক্লোজারে ছেড়ে দেওয়া হবে।’’ চিড়িয়াখানার সুপার জনার্দন ঘোষ জানালেন, প্রাণী চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে শাবকটিকে ল্যাক্টোজেন ওয়ান খাওয়ানো হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যেই শাবকটিকে মাংসের কিমা দেওয়া হবে।