ধান তোলার কাজে ব্যস্ত সনাতনের পরিবার। নিজস্ব চিত্র।
রাতারাতি বদলে গেল সনাতন সিংহের জীবন। রবিবারের আগে রান্নার কাজ এবং তদারকিতে ব্যস্ত ছিলেন সনাতন। অমিত শাহ চলে যেতেই আমূল পরিবর্তন। সনাতন ফিরে গেলেন নিজের কাজে। জমিতে কেটে রাখা ধান বাড়িতে আনতে। শুধু তিনি একা নন। তাঁর সঙ্গে স্ত্রী সরস্বতী ও বাবা ঝুনুও করছেন সেই কাজ। মা যমুনা ছাগল চরাতে গিয়েছেন মাঠে। ধানের গোছা নিয়ে বাড়ি ফিরে দুপুর ১২টার পর রান্না বসিয়েছেন সরস্বতী।
শনিবার সকালে থেকেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জন্য রান্না শুরু করেছিলেন যমুনা ও সরস্বতী। পটল, উচ্ছে, বেগুন, ঢেঁড়স ভাজা, পোস্ত দিয়ে খোসলা শাক, ফুলকপির তরকারি এবং শুক্তো ছাড়াও রান্না করেছিলেন একাধিক পদ। তার পর সেই সব সাজিয়ে অমিত শাহ, দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়দের পরিবেশন করেছিলেন সরস্বতী এবং সনাতন। হেভিওয়েট নেতাদের সঙ্গে বসে একই দালানে সে দিন খেয়েছিলেন পরিবারের কর্তা ঝুনু। সেই ঝুনু এ দিন ধান বয়ে নিয়ে আসার কাজে ব্যস্ত। ঝুনু রবিবার বলেছেন, ‘‘কাল খেয়েছিলাম এক সঙ্গে। খুব ভাল লেগেছিল। সেই ব্যস্ততা আর নেই। তাই বাড়ির কাজ শুরু করেছি।’’
শনিবার নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয়েছিল কর্ণগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের বালিজুরি গ্রাম। অমিত চলে যাওয়ার পরও শনিবার রাতে জেলা বিজেপি নেতারা ফোন করেছিলেন। তবে রবিবার সকাল থেকে আর কেউ যোগাযোগ রাখেননি। সনাতন বলেছেন, ‘‘ওই জেলা নেতারা ফোন করতে বলেছিলেন। তবে নম্বর না থাকায় যোগাযোগ করতে পারিনি।’’ প্রায় তিন বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলেন তিনি। সেই ধান তোলার কাজই করছেন সনাতন ও তাঁর পরিবার। আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য খাবারের ও অন্যান্য সামগ্রীর জন্য কত খরচ হয়েছে, তার হিসেব রাখেননি সনাতন। তবে দলের কাছ থেকে সেই খরচ নেবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমার বাড়িতে এমন ব্যক্তিত্ব অতিথি হয়ে এসেছিলেন।এর জন্য আমি গর্বিত।’’
আরও পড়ুন: বিজেপিতে পদ জুটবে কি! ধন্দে অনুগামীরা
আরও পড়ুন: জঙ্গলমহলে ‘ঘর’ বাঁচানোর তোড়জোড়