সিলিন্ডারের ওজন পরখ করে নেওয়া জরুরি। নিজস্ব চিত্র
গ্যাস সিলিন্ডার বাড়িতে সরবরাহের সময় সঙ্গে ওজন করার যন্ত্র রাখার নিয়ম রয়েছে। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই খাতায় কলমে রয়েছে এই নিয়ম। এ বার ঘাটাল শহরে সিলিন্ডার বোঝাই গাড়িতে এলপিজি সিলিন্ডার ওজন করার যন্ত্র রাখা বাধ্যতামূলক করল মহকুমা প্রশাসন। গ্রাহকরা চাইলে সিলিন্ডার ওজন করেই তা সরবরাহ করতে হবে। সেফটি ক্যাপ খোলা সিলিন্ডার বিলি না করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। নিয়ম না মানার অভিযোগ হলে ডিলারের লাইসেন্স বাতিল করার কথা জানিয়েছে প্রশাসন।
ঘাটালের মহকুমাশাসক পিনাকিরঞ্জন প্রধান বলেন, “সিলিন্ডার বোঝাই তিন চাকার ভ্যানে ওজন মাপার যন্ত্র থাকার নিয়ম। ঘাটালে এমন নিয়ম মানা হয় না। এ বার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফের এমন অভিযোগ এলে ডিলারের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।”
মাস কয়েক ধরেই ঘাটাল শহরে এলপিজি সিলিন্ডার সরবরাহকারী সংস্থার গ্যাস সিলিন্ডারে নির্দিষ্ট ওজনের থেকে কম গ্যাস থাকার অভিযোগ উঠছিল। সরবরাহের কাজে যুক্ত কর্মীদের কাছে ওজন মাপার যন্ত্রও সব সময় থাকত না। ফলে গ্রাহকদের সন্দেহ হলেও তা যাচাই করার সুযোগ ছিল না। গত বৃহস্পতিবার ঘাটাল শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিশ্চিন্দিপুরে কম ওজনের সিলিন্ডার বিলির অভিযোগ সামনে আসে। ওই দিন সিলিন্ডার পাওয়ার পর গ্রাহকরা সেগুলি ওজন করতে শুরু করেন। অভিযোগ, সেই সময় দেখা যায় সিলিন্ডারগুলিতে নির্দিষ্ট ওজনের চেয়ে পাঁচ-ছয় কিলোগ্রাম করে গ্যাস কম রয়েছে।
সিলিন্ডারে কম গ্যাস থাকার অভিযোগ সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ওজন মাপার যন্ত্র গাড়িতে রাখা বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘাটাল শহরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিলার সুকান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সিলিন্ডার ওজন করার যন্ত্র গাড়িতেই থাকে। এ বার সব গাড়িতেই ওই যন্ত্র রাখা হয়েছে। গ্রাহকরা চাইলেই সিলিন্ডার ওজন করে দেখে নিতে পারবেন।” ঘরোয়া কাজের জন্য নির্দিষ্ট গ্যাস সিলিন্ডারের অবৈধ ব্যবহার বন্ধ করতেও ঘাটাল শহর জুড়ে পুলিশ ধড়পাকড় শুরু করেছে। ঘাটালের মহকুমা পুলিশ অফিসার কল্যাণ সরকার বলেন, “ঘাটাল শহরে কোন গ্যারাজে এমন হয় তা দেখতে পুলিশি নজরদারি শুরু হয়েছে। সেগুলি চিহ্নিত করার পরই অভিযানে নামা হবে।”