কাটমানি, স্বজনপোষণের নালিশ
Leaflet

দুর্নীতি! লিফলেট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোলাঘাট শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:৫৫
Share:

বিতর্কিত লিফলেট। নিজস্ব চিত্র

ফের কাটমানির অভিযোগে লিফলেট ছড়ানো হল কোলাঘাটে। তবে এ বার একেবারে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতরে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজারের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ এবং তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ তুলে লিফলেট ছড়ানো হল। তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়নের নামে ছাপা হয়েছে লিফলেটগুলি। যদিও তাদের তরফে এমন কোনও লিফলেট ছড়ানো হয়নি দাবি করেছে তারা।

Advertisement

সোমবার সকালে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতরে বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু লিফলেট পড়ে থাকতে দেখা যায়। লিফলেটগুলিতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ পাঁচটি বিষয় নিয়ে অভিযোগ আনা হয়েছে।বলা হয়েছে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সমস্ত ক্যাজুয়াল ও পেরিনিয়্যাল পুরনো শ্রমিকদের শাটডাউনে বসিয়ে রেখে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নতুন শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। টারবাইন শাটডাউনের কাজে পুরনো শ্রমিকদের বসিয়ে রেখে নতুন একশো জন শ্রমিককে বাইরে থেকে এনে কাজ করানো হচ্ছে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্দিষ্ট দুটি কোম্পানির শ্রমিকদের বসিয়ে রেখে নতুন শ্রমিকদের গেটপাস ইস্যু করা হয়েছে। সমস্ত শ্রমিক, অফিসারদের ঠিকাদারদের দিয়ে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে জেনারেল ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। শ্রমিকদের বঞ্চিত করে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ‘নতুন নেতা’ কাটমানি খাচ্ছেন বলে অভিযোগও করা হয়েছে লিফলেটে। লিফলেটের নীচে লেখা রয়েছে প্রচারে তৃণমূল কংগ্রেস ট্রেড ইউনিয়ন।

যদিও তৃণমূল কংগ্রেস ট্রেড ইউনিয়নের জেলা সভাপতি তথা কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র শ্রমিক সংগঠনের পর্যবেক্ষক দিব্যেন্দু রায় এই ধরনের লিফলেট ছাপানোর কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সংগঠনের মধ্যে ভাঙন ধরাতে কেউ এ ধরনের কাজ করছেন। আমরা তদন্ত করে এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। তা ছাড়া লিফলেটে যে সমস্ত অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন।’’ কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘লিফলেট ছড়ানোর কথা জানি না।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০১০ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক সংগঠন কোলাঘাট থার্মাল পাওয়ার স্টেশন ন্যাশনালিস্ট ঠিকা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি পদে ছিলেন দিবাকর জানা। গত ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রের আধিকারিককে মারধরের অভিযোগে তাঁকে সাসপেন্ড করে দল। শ্রমিক সংগঠনের পর্যবেক্ষক পদে বসানো হয় অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত দিব্যেন্দু রায়, অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়, শিবনাথ সরকারকে। লিফলেটের পিছনে তাই দিবাকর অনুগামীদের হাত থাকতে পারে বলে অনুমান এঁদের অনুগামীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement