শুরু হয়েছে জেটি তৈরির প্রাথমিক কাজ। — নিজস্ব চিত্র।
কোলাঘাটের দেনান এলাকায় জলপথে পণ্য পরিবহণের জন্য একটি জেটি তৈরিতে উদ্যোী হল ভারত সরকারের অভ্যন্তরীণ জল পরিবহণ দফতর। জেটি তৈরির জন্য প্রাথমিক কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, হলদিয়া বন্দরের উপর চাপ কমাতে দেনানে জেটি তৈরি করা হবে। ছোট জাহাজগুলির পণ্য খালাস করা হবে দেনানে।
১৮৭৩ সালে হাওড়ার উলুবেড়িয়া থেকে কোলাঘাটের দেনান হয়ে মেদিনীপুর পর্যন্ত জলপথে পণ্য ও যাত্রী পরিবহণ শুরু হয়। ১৯০০ সালে বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে চালু হওয়ার পর গুরুত্ব হারাতে থাকে জলপথটি। ১৯০৩ সালের পর রূপনারায়ণ নদ দিয়ে পণ্য পরিবহণ পাকাপাকিভাবে বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ১২০ বছর পর ফের রূপনারায়ণ নদ দিয়ে পণ্য পরিবহণে উদ্যোগী কেন্দ্রীয় অভ্যন্তরীণ জল পরিবহণ বিভাগ। জানা গিয়েছে, কোলাঘাটের দেনানে রূপনারায়ণ নদে একটি পণ্য পরিবহণের জেটি গড়ে তোলা হবে। জেটি তৈরির প্রাথমিক কাজ ইতিমধ্যে শুরুও হয়ে গিয়েছে।
বঙ্গোপসাগর থেকে হলদি নদী হয়ে পণ্যবাহী ছোট ছোট জাহাজগুলিকে দেনানে নিয়ে আসা হবে।দেনান জেটিতে পণ্য খালাস করা হবে। জেটি থেকে সড়ক পথে যোগাযোগের জন্য আগেই মেদিনীপুর ক্যানালের বাঁধ বরাবর ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক পর্যন্ত কংক্রিটের রাস্তা তৈরি করে রাজ্য সেচ দফতর। সেই রাস্তা তৈরির অর্থ বরাদ্দ করেছিল জাতীয় জলপথ বিভাগ। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় জলপথ বিভাগ রাজ্য সেচ দফতরকে দেনান এলাকায় মেদিনীপুর ক্যানালের উপর একটি সেতু তৈরির করতে বলেছে। তাহলে জেটি থেকে পণ্য নিয়ে পণ্যবাহী গাড়ি অল্প সময়েই ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে পৌঁছে যেতে পারবে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, জাহাজ চলাচলের জন্য হলদি নদী থেকে কোলাঘাটের দেনান পর্যন্ত রূপনারায়ণ নদ ড্রেজিং করা হবে। জেটি তৈরির প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সেচ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, "দেনানে একটি জেটি তৈরি করবে কেন্দ্রীয় অভ্যন্তরীণ জলপথ বিভাগ। জেটি থেকে ৪১ নম্বর জাতীয় জাতীয় সড়কে পণ্যবাহী গাড়ি আসার জন্য মেদিনীপুর ক্যানালে একটি সেতু তৈরি করার জন্য আমদের কাছে নির্দেশ এসেছে। আগেই দেনান থেকে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার একটি কংক্রিটের রাস্তা তৈরি করা হয়েছে।"