খড়্গপুর পুরসভা অবশ্য পরিস্থিতি বুঝে পুরনো পাঁচশো-হাজার টাকার নোট জমা নিচ্ছে। পুরকর, মিউটেশন, জলের সংযোগ, গভীর নলকূপের অনুমতি, ট্রেড লাইসেন্সের টাকা— সব খাতেই পাঁচশো-হাজার টাকার নোট দেদার জমা পড়ছে। ইতিমধ্যে পুরসভা পুরনো নোটে প্রায় সাড়ে ৪লক্ষ টাকা জমা নিয়েছে। মানুষের হয়রানি কিছুটা কমাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। সঙ্কটের পরিস্থিতিতে পুরসভার এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন শহররবাসীও।
তবে এই সুযোগে অনেকে কালো টাকা সাদা করে নিতে পারেন বলেও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রেমবাজারের বাসিন্দা শিক্ষক অমিতাভ দাস বলেন, “পুরসভার পুরনো নোট নেওয়ার উদ্যোগ প্রসংশনীয়। কিন্তু দেখতে হবে কেউ যেন এর অপব্যবহার না করে।” বিরোধীরাও নানা প্রশ্ন তুলছে। সিপিএমের শহর জোনাল সম্পাদক অনিতবরণ মণ্ডল বলেন, “মনে হচ্ছে কিছু অসাধু কালো টাকার মালিককে টাকা সাদা করতে পুরসভা এই সুযোগ দিয়েছে।”
তবে এই যুক্তি মানতে নারাজ পুরপ্রধান প্রদীপবাবু। তিনি বলেন, “পুরকর বা মিউটেশন বাবদ পুরসভা যে টাকা নেয় তা খুব সামান্য। এই পরিমাণ টাকা জমা দিয়ে কোনও অসাধু লোক কালো টাকা সাদা করার সুফল পাবে না।”